২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ ফাল্গুন ১৪৩০, ২২ শাবান ১৪৪৬
`
চালের বাজারে অস্থিরতা

দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে

-


আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। তাই ধান বা চালের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যায়। সঙ্গত কারণে দেশে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে সব সময় সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হয়। আমাদের বর্তমান খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে এখন খাদ্য পরিস্থিতি খারাপ নয়। সার্বিকভাবে বা মোটাদাগে যদি দেখেন মোটামুটি সহনীয়।

সাধারণত দেখা যায়, বড় বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট গড়ে দেশের খাদ্যপণ্যের বাজারে চালের দাম বাড়িয়ে দেন। ধান ও চালের বড় মজুদদার হিসেবে তালিকায় রয়েছে কয়েকটি গ্রুপের নাম। এরাই আঁতাত করে বাজারে সিন্ডিকেট গড়ে তোলে।
গত বৃহস্পতিবার প্রায় সব ধরনের চালের পাইকারি দরে কেজিপ্রতি বেড়েছে এক টাকা। ধানের কোনো সঙ্কট না থাকলেও দুষ্টচক্রের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন মিল মালিকরা। প্রয়োজনীয় ধান সংগ্রহ করতে না পারায় তারা বাজারে চাহিদা মতো চাল সরবরাহ করতে পারছেন না। সাধারণ মিলারদের অভিযোগ, করপোরেট মালিকরা সিন্ডিকেটের হোতা। তারা লাখ লাখ টন ধান মজুদ করায় বাজারে এ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে যখন চাল প্রয়োজন; তখন মিলারদের কাছে যোগাযোগ করে চাল পাওয়া যায় না। যখনই চাহিদা বাড়ে তখন মিলাররা যার যার মতো চালের বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করেন।

নয়া দিগন্তের খবর অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে গত বুধবারের তুলনায় প্রতি কেজি মিনিকেট চাল এক টাকা বেশি দরে বিক্রি করছেন পাইকাররা। এর মধ্যে দাদা মিনিকেট চালের মূল্য ১৭ ফেব্রুয়ারি ছিল ৭৪ টাকা। গত বৃহস্পতিবার ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের বাজারমূল্য ৮৩ টাকা। কেজিপ্রতি দাদার চেয়ে ৮ টাকা বেশি। অন্যদিকে ডায়মন্ড ব্র্যান্ডের চাল ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাইজামের মূল্য গত দু’দিনের তুলনায় দুই টাকা করে বেশি।
চালের বাজারের বর্তমান অস্থিরতা নিয়ে ডায়মন্ড ব্র্যান্ডের মার্কেটিং ম্যানেজার রাব্বি নয়া দিগন্তকে বলেন, ধানের সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে বাজারে মিনিকেট চালের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। চাহিদা থাকলেও আমরা ধানসঙ্কটে পাইকারদের কাছে সরবরাহ করতে পারছি না; যার কারণে মিনিকেটের বাজার ঊর্ধ্বমুখী।

আর সপ্তাখানেক পর পবিত্র রমজান মাস শুরু। রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসকদের স্থানীয়ভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু এই সময়ে চালের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়ায় ভোক্তারা বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষসহ নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণী ক্ষুব্ধ। চালের দাম বাড়ায় তাদের দৈনন্দিন খরচ বেড়ে গেছে। লক্ষণীয় বিষয় হলো- বাজারে খাদ্য সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও অনেক সময় ভোক্তার কাছে তার সুফল পৌঁছে না। উদ্বৃত্ত অংশ গুদামজাত করা হয়। যাতে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি হয়। যেন কোনোক্রমে ব্যবসায়ীরা এবার তা করতে না পারেন সেদিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের খেয়াল রাখতে হবে।
সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে চালসহ খাদ্যপণ্যের সরবরাহ এবং দাম সহনীয় রাখার বিষয়টি সরকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। এজন্য এজেন্সিগুলোকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ভাষার বৈচিত্র্য সংরক্ষণের আহ্বান রাষ্ট্রদূত মুশফিকের ৮৪ শতাংশ মানুষ স্বাধীন স্থানীয় সরকার কমিশন চান : জরিপ ‘শিক্ষা ছাড়া উন্নত জাতি গঠন করা সম্ভব নয়’ যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবু, সাধারণ সম্পাদক খোকন পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত মানবাধিকার কমিশনের ওপর ন্যস্ত করার সুপারিশ গণঅভ্যুত্থানকে হাইজ্যাক করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা চলছে : আমীর খসরু বাকৃবিতে ধারালো অস্ত্রসহ আটক ৫ চুয়াডাঙ্গা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ইমাম নিহত জমি পাহারার মতো ভোটকেন্দ্রও পাহারা দিতে হবে : সিইসি ঈশ্বরগঞ্জে নবগঠিত উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মিটির বিরোধীতা করে মশাল মিছিল সরকারে থেকে কিংস পার্টি করলে দেশের মানুষ মেনে নেবে না : ফজলুর রহমান

সকল