০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ২ শাবান ১৪৪৬
`
৩২৪ স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই

শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত

-

জামালপুরে ৩২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। অবসরের কারণে একের পর এক শূন্য হচ্ছে এসব প্রধান শিক্ষকের পদ। কিন্তু দীর্ঘ দিন থেকে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে না। তাই প্রতি বছর বাড়ছে প্রধান শিক্ষকের পদশূন্য স্কুলের সংখ্যা। সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে চালিয়ে নেয়া হচ্ছে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম। প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় তারাও শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করাতে পারেন না। ফলে এসব বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। একটি সহযোগী দৈনিকের জামালপুর প্রতিনিধির প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় জানায়, প্রধান শিক্ষকের পদগুলোর ৬৫ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ৩৫ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণের বিধান রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে সরাসরি নিয়োগ করা হচ্ছে না। সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া বন্ধ রয়েছে। তাই প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ করা হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী আমখাওয়া ইউনিয়নের আমখাওয়া পূর্বপাড়া আজিজুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রায় সাত বছর এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। সহকারী শিক্ষক নূর হোসেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘নূর হোসেনকে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে হয়, আবার ক্লাসও নিতে হয়। প্রত্যেক শিক্ষককে প্রতিদিন কমপক্ষে তিনটি ক্লাস নিতে হয়। প্রশাসনিক কাজে বা বিভিন্ন সভায় যোগদান করতে তাকে প্রতি মাসে যেতে হয় উপজেলা সদরে। তখন তিনি ক্লাস নিতে পারেন না। ফলে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পাঠদান ব্যাহত হয়। একই উপজেলার কাউডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ২০১১ সালে অবসরে যান। এর পর থেকে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সহকারী শিক্ষক তাছমিয়া তাওছিনকে। সদর উপজেলার চালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে যান গত বছরের ৩১ জুলাই। এর পর থেকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সহকারী শিক্ষক আউলিয়া আক্তারকে। এভাবে ৩২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পর শূন্য হয়ে পড়ছে পদগুলো। সেখানে সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খান জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে সহকারী শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া ও পদোন্নতি শুরু হলে সঙ্কট দূর হবে।
একটি স্কুলের প্রধান পরিচালক হচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু একটি জেলায় ৩২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্র্রধান শিক্ষক না থাকাটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অথচ আমাদের সবার জানা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের শিক্ষার ভিত তৈরি হয়। তাই সেখানে পাঠদান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় পদোন্নতি ও নিয়োগসংক্রান্ত সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণে সরকারের আশু উদ্যোগ নেয়া জরুরি।


আরো সংবাদ



premium cement
কারিগরি শিক্ষাই আগামীর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে চেয়ারম্যান পদে যোগ দিলেন অনুপ কুমার চাকমা ফুলবাড়ীতে ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩ আ.লীগ পুনর্বাসনে উঠে পড়ে লেগেছে মিডিয়া ও আমলারা : হাসনাত আব্দুল্লাহ স্ত্রী সন্তানসহ শাহজাহান খানের বিরূদ্ধে দুদকের ৩ মামলা সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকসহ ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রায়গঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত লেবুর লাশ উত্তোলন স্বর্ণের ভরি কি ২ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে দুইজনের যাবজ্জীবন, সাবেক এমপিসহ ১০ জন খালাস বরেণ্য শিক্ষাবিদ আব্দুস ছাত্তার সরকারের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু পুঁজিবাজারে

সকল