১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`
স্বৈরাচারের দোসররা শ্রমবাজারে সক্রিয়

দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে

-

বিদেশে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশী অভিবাসী রয়েছেন। তাদের পাঠানো অর্থ আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দ্বিতীয় শীর্ষ খাত। ফলে প্রবাসী আয় দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারের আমলে বিদেশে লোক পাঠানো নিয়ে দুষ্টচক্র গড়ে ওঠায় ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতিতে দেশের স্বার্থ ক্ষুণœ হয়। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী কর্মীদের প্রবেশ সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। অন্তর্বর্তী সরকার সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে বিদেশে বাংলাদেশীদের অনুকূল শ্রমবাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু বাদ সেধেছে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা। এদের পুরনো দুষ্টচক্র বিদেশী শ্রমবাজারে এখনো সক্রিয় রয়েছে।
নয়া দিগন্তের খবর বলছে, পতিত সরকারের আমলে গড়ে ওঠা অসাধু আদম ব্যবসায়ী চক্রের কর্মকাণ্ডে বিদেশীদের কাছে এখনো দেশের ভাবমর্যাদা চরমভাবে ক্ষুণœ হচ্ছে। এতে বিদেশী শ্রমবাজারে বাংলাদেশীদের চাহিদা কমছে, যা দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর প্রবাসী আয় বাড়াতে বাংলাদেশীদের শ্রমবাজার বিস্তৃত করতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। আগামী কয়েক বছর বুলগেরিয়া, সার্বিয়া, রোমানিয়াসহ পূর্ব ইউরোপীয় দেশসহ ওই অঞ্চলে অন্তত ১০ লাখ বিদেশী কর্মীর চাহিদা তৈরি হয়েছে। বিশাল এ বাজার ধরার চেষ্টা করছে ড. ইউনূসের সরকার।
উল্লিখিত দেশগুলোতে বিদেশী কর্মীদের আবাসন ও খাবারের দায়িত্ব সাধারণত নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের। পাশাপাশি জীবনযাত্রার ব্যয় পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। যে কারণে এসব দেশে বাংলাদেশীদের যাওয়ার প্রবণতা বেশি, বিশেষ করে রোমানিয়ায়। এ জন্য সরকারের তরফ থেকে রোমানিয়াসহ যেসব দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস আছে, সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম শাখা শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় রোমানিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
কিন্তু অসাধু আদম ব্যবসায়ী চক্রের কারণে রোমানিয়াসহ ইউরোপের প্রায় সব দেশে বাংলাদেশীদের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ হচ্ছে। এই দুষ্টচক্র দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের অপচেষ্টা করে থাকে। কোনো কর্মকর্তা বেআইনি কর্মকাণ্ডে বাদ সাধলে তার বিরুদ্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হয়রানি করতে বিভিন্ন জন দিয়ে মতলবি অভিযোগ করিয়ে থাকে। এমনকি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সামনে লোক জড়ো করে বিক্ষোভও করায়। এতে বিদেশের মাটিতে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দুষ্টচক্রগুলো এর আগেও পতিত স্বৈরাচার হাসিনার আমলে একাধিক দেশে অবস্থিত বাংলাদেশী দূতাবাসের নানা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ভাবে অপসারণ করিয়েছে। দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ হলেও এরা ঠাণ্ডামাথায় দীর্ঘদিন ধরে এসব অপকর্ম করে আসছে।
বাস্তবতা হলো, শ্রমবাজারের বেশির ভাগ এখনো ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের মাধ্যমে গড়ে ওঠা দুষ্টচক্রের কব্জায়। বিদেশে বাংলাদেশীদের যাওয়ার ক্ষেত্রে এরা বড় অন্তরায় হয়ে আছে। সঙ্গত কারণে বলা যায়, এসব দুষ্টচক্র বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেশে দেশে তাদের নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশীদের বিদেশে যাওয়া সঙ্কুচিত করার চক্রান্তে মেতে আছে। তাই আদম ব্যবসায়ী দুষ্টচক্র কঠোর হাতে ভেঙে দিতে হবে। এই চক্র ভাঙতে না পারলে বিদেশে আমাদের শ্রমবাজারে ধস ঠেকানো যাবে না এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।


আরো সংবাদ



premium cement
৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে ফের নির্বাচন, সুপারিশ কমিশনের ভালুকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানাশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ স্ত্রী-সন্তানসহ শামীম ওসমান ও নানকের নামে দুদকের মামলা ‘চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বৈদেশিক সম্পর্কে নিজের স্বার্থ দেখবে বাংলাদেশ’ গাজায় এ পর্যন্ত ২০৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করেছে ইসরাইল বারিতে শ্রমিকদের ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ তারিক সিদ্দিক, টিউলিপ ও পুতুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের জামিন নামঞ্জুর, ৮ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট ছোটবেলার বন্ধুদের কবিতা আবৃত্তি করে শোনালেন মির্জা ফখরুল মাসিক ৩০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবে ঢাবি ছাত্রীরা সোনারগাঁও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার

সকল