মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন
- ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের পাঁচগাছি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী আব্দুল হামিদ মণ্ডল (৬৫)। তিনি স্কুলের জন্য ২৯ শতাংশ জমি দান করেছিলেন। তার বিনিময়ে চাকরি পান তিনি। একটি সহযোগী দৈনিকের সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, চাকরি পেলেও গত ২৪ বছরে স্কুল থেকে বেতন পাননি হামিদ মণ্ডল। বেতনের আশায় বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে কয়েক দফায় চার লাখ টাকাও দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তার পরও চাকরি স্থায়ী হয়নি। এখন ওই পদে অন্যকে নেয়ার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুল হামিদ ও তার পরিবার। তিনি পাঁচগাছি গ্রামের মৃত এন্তাজ আলী মণ্ডলের ছেলে। এ বিষয়ে নৈশপ্রহরী আব্দুল হামিদ মণ্ডল বলেন, ‘২০০০ সালে একটি চাকরি পাবো- এমন প্রস্তাবে সরল মনে পাঁচগাছি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালে নিজের ২৯ শতাংশ জমি ওই বিদ্যালয়ের নামে লিখে দেই। আমার জায়গার ওপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিনিময়ে আমাকে নৈশপ্রহরী পদে চতুর্থ শ্রেণীর একটি চাকরি দেয়। ২৪ বছর চাকরি করেও আমার কপালে বেতন-ভাতা জোটেনি। তিনি দাবি করেন, মাসিক বেতন স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাসে দফায় দফায় তার কাছ থেকে চার লাখ টাকা নিয়েছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদুল ইসলাম বাবু ও প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ। তিনি আরো বলেন, ‘পাঁচগাছি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ২৪ বছর দিন-রাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেছি কিন্তু বিনিময়ে কিছুই পাইনি।’ নিজের জায়গা-জমি, টাকা হারানোর সাথে সাথে ২৪ বছরের কঠোর পরিশ্রমের জন্য আফসোস আর আহাজারি করেন তিনি। এবার তার ভোটার আইডি কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে কোনো রকম বেতন-ভাতা না দিয়ে তাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করেছেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুল হামিদ মণ্ডলের স্ত্রী দুলালী খাতুন জানান, তার স্বামী দীর্ঘ ২৪ বছর দিন-রাত পরিশ্রম করে চাকরি করেও কোনো বেতন-ভাতা পাননি। তিনি ন্যায়বিচার দাবি করেছেন। জানতে চাইলে পাঁচগাছি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ বলেন, ‘এসব মিথ্যা অভিযোগ, এসবের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা ও বিদ্যালয়ের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবুর মোবাইল ফোনে বারবার কল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আব্দুল হামিদ মণ্ডলকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়ে জানতে চাইলে কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান আকরামুল হক বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নাগরিকের কর্মসংস্থান যেমন সরকারের দায়িত্ব, ঠিক তেমনি সরকারের দায়িত্ব হলো প্রতিটি নাগরিকের আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করা। বেতন-ভাতাবিহীন কাজের কোনো মূল্য নেই, এটি সরকারকে বুঝতে হবে। প্রতিটি নাগরিকের বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করতে হবেই। দীর্ঘ ২৪ বছরেও বেতন পাননি- এটি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। সরকারকে অবিলম্বে এদিকে খেয়াল করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা