০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ৭ রজব ১৪৪৬
`
হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা

জড়িতদের বিচারের আওতায় আনুন

-

নিরাপত্তা বাহিনী জনগণের জান-মালের পাহারা দেবে। বহিঃশত্রুর হাত থেকে নাগরিকদের রক্ষা করবে। হাসিনার দানবীয় শাসনে এই ব্যবস্থা উল্টে দেয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিযুক্ত পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী দেশের মানুষের নিরাপত্তায় বিঘœ ঘটিয়েছে। তারা গুম-খুনসহ আইনবিরোধী কাজ করেছে। বিদেশীরা যখন সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা করছে, তখন সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত বিজিবিকেও দেশের মানুষকে দমন-পীড়নের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। যারা নিরাপত্তা দেবে দেশের মানুষকে তারা প্রাণহানিসহ ভয়াবহ সব নিপীড়নের সাথে যুক্ত হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে সামরিক বাহিনীকেও তারা একই কাজে লাগানোর ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। তবে র্যা বকে দিয়ে হেলিকপ্টার থেকে দেশের মানুষকে গুলি করে হত্যা এবং আন্দোলন গুঁড়িয়ে দেয়ার ঘৃণ্য অপচেষ্টা তারা করেছে।
সহযোগী একটি দৈনিক উদঘাটন করেছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয় খোদ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায়। মধ্য জুলাইয়ে ঢাকা ও এর আশপাশে নৃশংস হেলিকপ্টার অভিযান শুরু হয়। আন্দোলনে উত্তাল যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, উত্তরাসহ অরো কিছু জায়গায় হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে আন্দোলকারীদের হত্যা করা হয়। এতে করে আন্দোলনে অংশ নেয়া অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন, অনেকের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি ঘটেছে। বাসার ভেতরে এবং ছাদে খেলতে যাওয়া শিশুর করুণ প্রাণহানি ঘটেছে। এই নিষ্ঠুরতার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করা অত্যন্ত জরুরি। এ ধরনের পৈশাচিকতার বিচার করা না গেলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। মানবতা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। এখন সবাই জানে, দানব হাসিনা মানুষ হত্যা করে শেষ পর্যন্ত গদি রক্ষা করতে চেয়েছে। তিন বাহিনীর সাথে আলোচনায় তার জোরজবরদস্তির বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। তিনি পুলিশ প্রধানকে দেখিয়ে অন্য বাহিনীগুলোকেও একই ধরনের নৃশংসতা চালানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। সৌভাগ্যের বিষয়, আমাদের সামরিক বাহিনী স্বদেশের মানুষের ওপর নিষ্ঠুর হওয়ার মতো হঠকারিতা করেনি।
হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ মারার অপারেশনের নাম দেয়া হয়েছিল ‘অপারেশন ক্লিনডাউন’। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এ ধরনের অভিযান শুরুর প্রস্তাব করেন তৎকালীন র্যা বের মহাপরিচালক। এতে সায় দেন তখনকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন। আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ ব্যক্তিরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় মিলিত হতেন। এ প্রস্তাব পাওয়ার পরপরই মন্ত্রী তা লুফে নেন। পত্রিকার ভাষ্যমতে, আন্দোলন দমনের কার্যকর ফর্মুলা হিসেবে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। হাসিনা এমন অভিযান চালাতে নিষেধ করবেন সেটি হওয়ার কথা নয়। তিনি অভিযানের অনুমোদন দেন। বাস্তবে যার প্রতিফলন দেখা গেছে মানুষ মারার আরো একটি জঘন্য কৌশলে। সেটি ছিল স্নাইপার বাহিনী। তারাও বহু মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে।
হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ মারার চক্রান্তকারী র্যা ব ও পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা চাকরিচ্যুত কিংবা বাধ্যতামূলক অবসরে গেছেন। অনেকে এখন নিরুদ্দেশ। তাছাড়া এই অভিযান বাস্তবায়নে বিভিন্ন স্তরে আরো অনেকে কাজ করেছেন। তদন্ত করে তাদের সবাইকে শনাক্ত করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এই অপরাধীদের বিচারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
আড়াইহাজারে বিএনপির সাবেক শিল্পবিষয়ক সম্পাদক রোকন উদ্দিন মোল্লার স্মরণে দোয়া মাহফিল লন্ডন পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া টেকনাফে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ আটক ১ কাউখালীতে চাঁদাবাজি রুখতে বিএনপির মাইকিং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত মোংলায় হরিণের গোশতসহ আটক ৬ নৌ-বিমান দুর্ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ায় নিহত ৩ ফেনীতে মিথ্যা মামলার বাদি-সাক্ষীর বিরুদ্ধে বিচারকের মামলা হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোকে জনগণ ইতিবাচকভাবে নেয়নি : রিজভী টিউলিপকে প্রশ্ন করায় ব্যারিস্টার আরমানের বাড়িতে অভিযান সরিষাবাড়ীতে ট্রেন-ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত ৩, ক্ষতির পরিমাণ অর্ধ কোটি টাকা

সকল