০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১, ৫ শাবান ১৪৪৬
`
পাঁচ বছরে এক ছটাক ধানও সংগ্রহ হয়নি

সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা

-

একটি সহযোগী দৈনিকের বাগাতিপাড়া (নাটোর) সংবাদদাতা জানান, নাটোরের বাগাতিপাড়ায় গত পাঁচ বছরে এক ছটাক ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য বিভাগ। প্রতি বছরই বোরো ও আমন ধান সংগ্রহের নির্দেশনা দিলেও তা সংগ্রহ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। ফলে বছরের পর বছর ধান সংগ্রহ না করেই চলছে উপজেলা খাদ্য বিভাগের কার্যক্রম। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, গুদামে ধান দিতে গেলে আর্দ্রতা যাচাই, পরিবহন খরচ, অনলাইনে নিবন্ধন, ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনসহ নানা ঝামেলা থাকে। তা ছাড়া সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি পাওয়া যায়। এ কারণে উপজেলা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করছেন না তারা।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত উপজেলা খাদ্য বিভাগে কোনো ধান সংগ্রহ হয়নি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে আমন ধান সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিল, যা ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলছিল। আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৩৬ টন। প্রতি কেজি ধানের দাম ধরা হয়েছিল ৩০ টাকা। কিন্তু কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত বোরো মৌসুমেও ছিল একই অবস্থা। এ দিকে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য গত ১১ নভেম্বর থেকে ধান সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু হয়েছে যা ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। এবার ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে ৪৬১ টন। প্রতি কেজি ধানের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৩ টাকা। কিন্তু দেড় মাসেও কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারছে না তারা। এ নিয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত কোনো ধান সংগ্রহ করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য বিভাগ।
উপজেলার ঘোরলাজ মহল্লøার মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, গুদামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি। এ কারণে কৃষকরা গুদামে ধান দেন না। আবার বাজারে ধান বিক্রি করতে কোনো ঝামেলা নেই। নিয়ে গেলেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গুদামে ধান দিতে গেলে ভালো করে রোদে শুকাতে হয়। পরিবহন খরচ, অনলাইনে নিবন্ধন, ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনসহ নানা ঝামেলা পোহাতে হয়। এ কারণে মানুষ গুদামে ধান দিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
ধান-চাল সংগ্রহ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে খাদ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা অতিরিক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক ডালিম কাজী জানান, ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ধানই সংগ্রহ করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য অধিদফতর। ধান সংগ্রহের জন্য তার দফতরের পক্ষ থেকে লিফলেট, মাইকিংসহ যাবতীয় প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। বাজার মূল্যের চেয়ে সরকার নির্ধারিত কম দাম হওয়ায় তাদের কাছে ধান দিচ্ছেন না কৃষকরা। সরকার নির্ধারিত দাম যদি বাজারের চেয়ে বেশি হতো, কৃষকরা অবশ্যই গুদামে ধান দিতেন বলে জানান তিনি।
আমরা অবিলম্বে এ ব্যাপারে তদন্ত দাবি করছি। দেশের খাদ্য নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ এই কর্মসূচির ব্যর্থতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
সমালোচনা আর চাপের মুখে সরকারের সামনে যে ৬ চ্যালেঞ্জ সন্তানহারা চিকিৎসক দম্পত্তি প্রতিষ্ঠা করলেন ক্যানসার ফাউন্ডেশন তিস্তা এখন উত্তরাঞ্চলের কান্না : দুলু রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ গাজীপুরে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতায় শহীদ যারা’ স্মারকের মোড়ক উন্মোচন রাজনীতিতে ফের সক্রিয় সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মিজান সিনহা গণহত্যার বিচারের পর নির্বাচন দিতে হবে : রফিকুল ইসলাম খান হিজাব শুধু অধিকার নয়, এটি সভ্যতার উপাদানও বটে : জাবি ভিসি ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত বিজয়ের ব্যত্যয় জাতির জন্য আত্মহত্যার শামিল : অ্যাডভোকেট জুবায়ের প্রতি বছর সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ৫ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ ফেনী যুবদলের নেতৃত্বে নাসির-বরাত

সকল