উৎপাদন খরচ কমান
- ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০, আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৪৩
দৈনিক নয়া দিগন্তের শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, খরচ কম ও দ্বিগুণ ফলন হওয়ায় শরীয়তপুরে বাড়ছে বিনা চাষে পেঁয়াজ-রসুনের আবাদ। বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই জমির ভেজা নরম মাটি পেঁয়াজ-রসুন আবাদের উপযোগী হয়ে ওঠে। এ সুযোগটাই কাজে লাগান কৃষকরা। তারা চাষবিহীন পলিমাটিতে পেঁয়াজ-রসুন বপন করেন। উর্বর মাটিতে খুবই অল্প খরচে ভালো ফলন পান তারা।
এবার জমি উপযোগিতায় আসার আগেই (আবাদ মৌসুমে) দুই দফায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আবাদ কিছুটা বিলম্বিত হয়। তাতেও থেমে নেই কিন্তু কৃষকের স্বপ্ন। তারা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বিনা চাষে পেঁয়াজ-রসুন আবাদে। তবে শুধু বিনা চাষে নয়, এ জেলার কৃষকরা চাষাবাদের মাধ্যমেও প্রচুর পেঁয়াজ-রসুন আবাদ করে থাকেন। খুবই অল্প খরচে এবং উর্বর মাটিতে বেশ ভালো ফলন পান তারা।
২০০৬ সাল থেকে শরীয়তপুরে বিনা চাষ পদ্ধতিতে পেঁয়াজ-রসুনের আবাদ শুরু হয়। এই পদ্ধতি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ পদ্ধতিতে আবাদের ফলে কৃষকের জমি চাষের খরচ (এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেচ খরচ) বাঁচে, বিঘাপ্রতি ফলনও তিন চার মণ বেশি হয়। মালচিং হিসেবে কচুরিপানা ও খড় ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরা শক্তি বেড়ে যাওয়ায় জমিতে সারও কম ব্যবহার করতে হয়।
অক্টোবর মাসের শেষ দিকে বিনা চাষ পদ্ধতিতে পেঁয়াজ-রসুন আবাদ শুরু হয়ে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে রোপণের কাজ শেষ হয়। রোপণের ৯০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে ফলন ঘরে তোলা যায়। এ বছর শরীয়তপুরে চার হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ ও চার হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে রসুন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ। শরীয়তপুর সদর উপজেলা ছাড়াও জাজিরা, নড়িয়া, ডামুড্যা, গোসাইরহাট এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলায় প্রচুর পেঁয়াজ-রসুনের আবাদ হয়ে থাকে।
নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের কৃষক টিটু মাদবর বলেন, এ বছর পেঁয়াজ-রসুন আবাদে চাষ পদ্ধতিতে বিঘাপ্রতি ৪০-৪৫ হাজার টাকা ও বিনা চাষ পদ্ধতিতে ৩৫-৪০ টাকা খরচ হচ্ছে। তবে মৌসুমের শুরুতে দুই দফায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় রোপণে ১৫-২০ দিন বিলম্ব হয়েছে। সামনে আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলন ভালো হবে বলেই আশা করা যায়। শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোস্তফা কামাল হোসেন বলেন, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। আমরা কৃষককে উচ্চমূল্য পেতে এবং অধিক লাভবান হতে বিনা চাষে পেঁয়াজ-রসুন আবাদে উৎসাহী করে তুলছি। সেই সাথে মালচিং পদ্ধতি অবলম্বনে মাঠপর্যায়ে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি আগামীতে শরীয়তপুরে বিনা চাষ পদ্ধতিতে পেঁয়াজ-রসুনের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে।
কৃষকের কাছে উৎপাদন খরচ খুব গুরুত্বপূর্ণ। পেঁয়াজ-রসুন বিনা খরচে উৎপাদনের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারিভাবে উৎসাহদানের পাশাপাশি সর্বোচ্চ সহযোগিতা কাম্য। আশা করি সরকার সারা দেশে এ ধরনের আবাদ পদ্ধতি প্রচলনে এগিয়ে আসবে। এতে শরীয়তপুরবাসীর মতো সারা দেশের কৃষকেরাও বিনা খরচে পেঁয়াজ-রসুন আবাদে লাভবান হবেন। দেশবাসীও উপকৃত হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা