এখনই বন্ধ করতে হবে
- ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০, আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৭
দৈনিক নয়া দিগন্তের কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জে কুলিয়ারচরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কে বেপরোয়াভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে নম্বরবিহীন সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এ ছাড়া মহাসড়কে নিষিদ্ধ লেগুনা, ভটভটি, ইজিবাইক ও থ্রি হুইলার নামক যানবাহনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। নম্বরবিহীন এসব যানবাহনের বেশির ভাগ চালকের নেই কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স যার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। পাশাপাশি যানজটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও চালকরা।
স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশ ও বিভিন্ন স্টেশনে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে এসব অবৈধ যানবাহন। বর্তমানে হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ মাঠে কাজ করলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি অনুমোদনহীন এসব যানবাহন।
কয়েকজন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক জানান, মহাসড়কে যারা সিএনজি অটোরিকশা চালান তাদের বেশির ভাগই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। এসব অটোরিকশা আবার নম্বারবিহীন। আগের সরকারের আমলে বিভিন্ন মাধ্যমে মাসোয়ারা দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে এসব অটোরিকশা চালাতেন তারা। বর্তমানে পুলিশের অভিযান নেই, সেজন্য মাসোয়ারা দিতে হচ্ছে না। তবে থানাতে প্রতিদিন ডিউটি করার জন্য একটি সিএনজি দেয়ার অজুহাতে প্রতি সিএনজি গাড়ির চালকের কাছ থেকে ১০ টাকা করে চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির নম্বর ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় জবাবদিহির বাইরে এসব চালক। অনেক চালক ধর্ষণ, মাদক, চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।
সম্প্রতি এক কলেজছাত্রী ও এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয় ভৈরব ও কুলিয়ারচরে। সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে এক সিএনজি অটোরিকশা চালকসহ দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু’জনই আদালতে তাদের দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বরিশালের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদরে। বাড়িতে ফেরার জন্য গত ১৮ সেপ্টেম্বর বরিশাল থেকে ঢাকায় এসে রাত সোয়া ৯টায় সায়েদাবাদ থেকে ভৈরবের বাসে ওঠেন। ভৈরব পৌঁছান রাত ১২টায়। ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার বাস না থাকায় ওই ছাত্রী একটি সিএনজি অটোরিকশায় ওঠেন। একপর্যায়ে চলন্ত অটোরিকশার মধ্যেই ওই ছাত্রী ঘুমিয়ে পড়েন, অন্য যাত্রীরা নেমে পড়েছেন, বুঝতে পারেননি। ঘুম থেকে জেগে দেখেন অটোরিকশায় কেবল চালক আর তার সহযোগী। রাত পৌনে ২টার দিকে চালক জানান, তার বাড়ি সামনে, স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। স্ত্রীকেও কিশোরগঞ্জ নিয়ে যেতে হবে বলে কুলিয়ারচরের কলাকোপার চম্পাকান্দা এলাকায় অটোরিকশাটি থামিয়ে মেয়েটিকে একটি বাঁশঝাড়ের কাছে নিয়ে যায় চালক ও তার সহযোগী। এরপর দু’জন তাকে ধর্ষণ করে। পরে তার কাছ থেকে মুঠোফোন ও নগদ টাকা কেড়ে নেয়। নিরুপায় হয়ে গভীর রাতে তিনি একা একা হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন একজনের সাথে দেখা হয়। তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা করেন ওই কলেজছাত্রী। মামলা হওয়ার পর তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ সাজু মিঞা বলেন, গণবিপ্লবের পর বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। অবৈধ যানবাহনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান ফের শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
মহাসড়কে শুধু দ্রুতগতির যানবাহনই চলাচল করা উচিত। দ্রুত ও ধীরগতির যানবাহন চলাচল একত্রে করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তাই মহাসড়কে ধীরগতির যান চলাচল বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে। কুলিয়ারচর নয় শুধু সারা দেশেই অবিলম্বে এই আইন কার্যকর করা দরকার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা