সরকারের পদক্ষেপ ইতিবাচক
- ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
আওয়ামী লুটেরা সরকারের নেতা, মন্ত্রী ও তাদের দোসরদের পাচার করা লাখো কোটি টাকা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দরকারি পদক্ষেপ নিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে মানিলন্ডারিং মামলা তদন্তে দুদককে অন্তর্ভুক্ত করা, ব্যাংকের সন্দেহজনক লেনদেন বিশ্লেষণ, সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে প্রয়োজনীয় চুক্তি সম্পাদনসহ বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অর্থপাচার রোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো, এ সংক্রান্ত পুরনো মামলার তদন্তের সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা জাতীয় সমন্বয় কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দেশে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি বিদেশের সাথেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। যেসব দেশে অর্থ পাচার করা হয়েছে সেসব দেশের সাথে চুক্তি করতে হবে। এ জন্য ওই সব দেশে বেসরকারি খাতের আন্তর্জাতিক মানের এজেন্সি নিয়োগ দেয়া হবে। এজেন্সিগুলোর কাজ হবে পাচার হওয়া টাকার ওপর বাংলাদেশের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। এ লক্ষ্যে আইনগত ও কারিগরি সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে। যুক্তরাষ্ট্র ও আইএমএফ এ বিষয়ে সহযোগিতা দিতে সম্মত হয়েছে।
ওয়াশিংটনের অর্থিক খাতের গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের বেপরোয়া লুটপাটের শাসনে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার বা ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এভাবে সাড়ে ১৫ বছরে বিপুল অর্থ পাচার হয়েছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, হংকং ও থাইল্যান্ডে।
আওয়ামী লীগের একেকজন মন্ত্রী জনগণের অর্থ কী বিপুল লুটপাট করেছেন তার অবিশ্বাস্য নমুনা উঠে এসেছে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে। সাবেক ভূমিমন্ত্রী শুধু লন্ডনে বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন ৩৬০টি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও দুবাইয়েও তার বহুসংখ্যক বাড়ির খবর বেরিয়েছে। আওয়ামী দোসর সুবিধাভোগীরাও একইভাবে দেশবাসীর টাকা লুট ও পাচার করেছেন। এসব দোসরের মধ্যে সরকারি দলের নেতা, শরিক দলের নেতা, সরকারি আমলা, ব্যবসায়ীÑ কে নেই! তথাকথিত বামপন্থী সুশীল, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন একাই ২৫ হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন গত ১৫ বছরে। এসব নেতার প্রত্যেকের লুটপাটের তথ্য তদন্ত করে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে, এটি জনগণ আশা করে। কারণ এ টাকা গরিব কৃষক মজুর, পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের জনগণের। নিজের চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই, জনগণের সেবাই লক্ষ্য এবং দেশ ও জনগণের উন্নয়ন ও বিশ্বে দেশের ভাবমর্যাদা পরম শিখরে নিয়ে যাওয়ার নামে বছরের পর বছর ধরে এরা নির্বিচার দেশের সম্পদ লুট ও জনগণকে শোষণ করেছে। দেশকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।
এসব দুষ্কৃতকারীর মুখোশ উন্মোচন করে তাদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করা এবং বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো এ মুহূর্তে খুব জরুরি। এটি হলে ভবিষ্যতে আর কোনো রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত জনসেবার নামে জনগণের টাকা লুট করার সুযোগ পাবে না।
পাচার করা অর্থ হয়তো শিগগির ফিরিয়ে আনা যাবে না। তবে সমন্বিত কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে চলমান থাকলে এক বা দুই বছরে অনেকটা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা