২২ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩০, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ

অচল হয়ে পড়ছে রাজধানী

-

রাজধানী ঢাকা বিগত কয়েক দশকে বিশ্বের সবচেয়ে বর্ধিষ্ণু শহর। প্রধানত বেড়েছে এর জনসংখ্যা। বাড়তি মানুষের চাহিদা মেটাতে গড়ে উঠেছে এলোপাতাড়ি আবাসন। যথেষ্ট না হলেও বেড়েছে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও। সে তুলনায় বাড়ানো যায়নি যান চলাচলের রাস্তা। স্বাভাবিক সময়ে উপচে পড়া যানবাহনের কারণে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম হয়। এর মধ্যে প্রতিবাদ বিক্ষোভ বা দাবি আদায়ের জন্য সড়কে সমাবেশ হলে শহর প্রায় অচল হয়ে পড়ে। বিপ্লবের সময় ও পরে ঢাকাবাসী প্রায়ই ভয়াবহ যানজটে পড়ছে। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ স্পটে এমন কর্মসূচি থাকলে সেটি পুরো শহর অচল করে দিচ্ছে।
ঢাকায় রাস্তায় তুলনামূলক স্বস্তিতে চলাচল করা যায় বন্ধের দিনে। দেখা যাচ্ছে এসব দিনেও রাস্তায় অবস্থান নিচ্ছে আন্দোলনকারীরা। গত শনিবার এ ধরনের এক কর্মসূচির কারণে শহরের মানুষ তীব্র যানজটে পড়েন। ‘আউটসোর্সিং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন’ ব্যানারে সকাল ১০টায় শাহবাগের মোড়ে অবস্থান নেয় একটি দল। টানা সাত ঘণ্টা তারা গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক অবরোধ করে রাখে। এর ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মৎস্য ভবন, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরির মোড় ও বাংলামোটর এলাকায় যান চলাচল স্থবির হয়ে যায়। ছুটির দিন হলেও পুরো শহরে যানজট লেগে যায়। রাজধানী থেকে উত্তরে পাড়ি দিতে এই মোড় অতিক্রম করে দূরপাল্লার গাড়ি। এই মোড়েই রয়েছে দুটো বড় হাসপাতাল। সারা দেশ থেকে হাসপাতালে রোগী আসে। এ অবস্থায় দূরের যাত্রীদের গাড়িতে ঠায় বসে থাকতে হয়।
৫ আগস্টের পর মানুষ স্বাধীনভাবে দাবিদাওয়া পেশের সুযোগ পায়। দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক ধরে নানা শ্রেণীর মানুষের মধ্যে জমে ছিল যে বঞ্চনা, তা-ই নিয়ে সবাই একসাথে সরব হয়ে উঠল। সবাই স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের অধিকার আদায় করতে চায়। এ জন্য তাদের প্রতিবাদ অনেকটা বলপ্রয়োগের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এই আউটসোর্সিং কর্মীরা ফ্যাসিস্ট শাসনে নানাভাবে শোষিত হন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আশ্বাসের পর বিকেলে তারা অবরোধ তুলে নেন।
আশঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে, দেশে শত শত বঞ্চিত গোষ্ঠী রয়েছে। তারা সবাই যদি একে একে এভাবে দাবি আদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে তাহলে রাজধানী বেশির ভাগ সময় অচল হয়ে থাকবে। মানুষজন সঠিক সময়ে অফিসে আসা-যাওয়া করতে পারবে না। এমনকি খোদ উপদেষ্টারাও পৌঁছাতে পারবেন না তাদের কর্মস্থলে। ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা নিজেও দফতরে যেতে আন্দোলনকারীদের অবরোধের মুখে পড়েছেন। দাবিদাওয়া জানানো ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের অধিকার সবার আছে; কিন্তু সেই অধিকার চর্চা করতে গিয়ে আমরা যদি রাস্তা অবরোধ করে সবকিছু অচল করে দিই তাহলে আখেরে পুরো জাতিরই ক্ষতি হয়। বিপুল কর্মঘণ্টা ও কর্মশক্তি বিনষ্ট হয়। এ অবস্থায় সরকারসহ সব পক্ষকে এ থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজতে হবে।
এ ধরনের মেগাসিটিতে অন্তত ২৫ শতাংশ জায়গা রাস্তার জন্য প্রয়োজন। আমাদের আছে মাত্র ৯ শতাংশ। এ অবস্থায় রাস্তা অবরোধ করা হলে এ শহরে দৈনন্দিন কাজ করা অসম্ভব হয়ে যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement
সংস্কার ও নির্বাচন সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিতে হবে : ড. মঈন খান আড়াই শ’র বেশি ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি পুঠিয়ায় আ’লীগকর্মীদের হামলায় বিএনপির ৪ কর্মী আহত লিড বাড়িয়ে ছুটছে দক্ষিণ আফ্রিকা নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুললো ধীর গতিতে যমুনার নদী ভাঙন প্রকল্প, নদীগর্ভে ২ শতাধিক বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ কিভাবে কাজ করে ব্যারিস্টার সুমনের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ ডুয়েটের নতুন ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বকেয়া মজুরির দাবিতে চাশ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি আওয়ামী লীগ কি সত্যিই আগরতলায় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে?

সকল