একেবারেই অগ্রহণযোগ্য
- ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
সোয়া ১২ কোটি নাগরিকের ছবি ও সবধরনের ব্যক্তিগত তথ্যসমৃদ্ধ নির্বাচন কমিশনের তথ্যভাণ্ডার বা ডেটা সেন্টার। অথচ ডেটা সেন্টারের সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। প্রযুক্তিগত পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি ও তার সহযোগী আরেক প্রতিষ্ঠানের হাতে। এমনই তথ্য জানা গেল সহযোগী একটি দৈনিকের খবরে।
খবরে বলা হয়, ডেটাবেজের নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ে চিন্তায় সরকার ও নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম বলেন, ঘরের চাবি অন্যের কাছে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ। মূলত ডেটা সিস্টেমের সোর্স কোড যার কাছে থাকে, ডেটা সেন্টারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে তার হাতে। সোর্স কোড না পাওয়া পর্যন্ত ডেটা সেন্টারে কাঠামোগত পরিবর্তন আনার ক্ষমতা পাচ্ছেন না ইসি কর্মকর্তারা; বরং যেকোনো দল বা ব্যক্তির অনুকূলে এতে গুরুতর হস্তক্ষেপের সুযোগ থেকে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হাতে।
সহযোগী দৈনিকের খবরে বলা হয়, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের পরিকল্পনা অনুসারে টাইগার আইটিকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েক ব্যক্তির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। প্রকল্পের কেনাকাটায় এমনভাবে দরপত্রের শর্ত নির্ধারণ করা হয়, যাতে টাইগার আইটি বিশেষ সুবিধা পায়। ওই সব টেন্ডারে ডেটা সেন্টারের সফটওয়্যার কেনা ‘সেবা’ হিসেবে না দেখিয়ে ‘পণ্য’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এ কারণে সফটওয়্যারের সোর্স কোড-সহ অন্যান্য ক্রেডেনসিয়াল নির্বাচন কমিশনকে হস্তান্তরের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি।
নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, এ মুহূর্তে ডেটাবেজ নিরাপদে ইসির নিয়ন্ত্রণে আনা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা সতর্কতার সাথে এগোচ্ছি।
আমরা মনে করি, ভোটার ডেটাবেসের এসব অনিয়ম করা হয় মূলত জাতীয় রাজনীতি, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস করে শুধু আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার গভীর চক্রান্তের অংশ হিসেবে। তা ছাড়া এর নিয়ন্ত্রণ ঠিকাদারের হাতে থাকলে জাতীয় জীবনের যেসব ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার হচ্ছে সেখানে যেকোনো নাগরিকের তথ্য হুমকিতে পড়তে পারে। প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠান নাগরিকদের তথ্য যাচাইয়ের জন্য ভোটার তালিকার তথ্যভাণ্ডার বা ডেটাবেস ব্যবহার করে। এদের প্রতিটি সেবা যেকোনো সময় বড় ধরনের নাশকতার শিকার হতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে দেশজুড়ে স্বৈরাচারের দোসররা এ মুহূর্তে অত্যন্ত সক্রিয়। তাদের প্রতিহত করার ক্ষেত্রে কোনোভাবে সময়ক্ষেপণ করার সুযোগ নেই।
সরকারের ‘অতি গোপনীয়’ এক প্রতিবেদনে টাইগার আইটিকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার প্রক্রিয়ায় জড়িত নির্বাচন কমিশনারসহ যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রতিবেদনটি সরকারের শীর্ষপর্যায়ে পেশ করা হয়েছে।
জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সমাধান করা দরকার বলে আমরা মনে করি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা