২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ

সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার জনগণের

-

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দেয়া উচিত নয়। ‘ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল’ হিসেবে দলটিকে নিষিদ্ধ করাও উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে গত মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র চাই, তাহলে আওয়ামী লীগকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হবে কেন? আওয়ামী লীগের মতো পুরনো রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশ নিতে চায়, তাহলে জনগণকে তাদের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ দেয়া উচিত।’
মির্জা ফখরুলের এই মন্তব্য এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বক্তব্য, জুলাই বিপ্লবের অংশীজনের মতামত ও চেতনার সাথে এর দূরত্ব স্পষ্ট এবং পরস্পরবিরোধী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-উত্তর গোটা ইউরোপে হিটলার ও মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী আদর্শে গঠিত দলের রাজনীতি শুধু নিষিদ্ধ নয়; নামোচ্চারণ পর্যন্ত নিষিদ্ধ।
সর্বাত্মক ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া গণহত্যাকারী স্বৈরাচারী দলটির ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে অনেকে মতপ্রকাশ করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন আওয়ামী লীগকে নতুন মুখ নিয়ে দল গোছানোর পরামর্শ দেন। সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল গত ২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন নিয়ে বিশিষ্টজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত রাজনৈতিক দলকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধের প্রস্তাব করেন। আবার সেই তিনি পরে বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে না।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংসের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী অপরাধে অভিযুক্ত সবার বিচারের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজম ও গণহত্যায় জড়িত। তার বিচার কার্যক্রম চলছে। দল হিসেবে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।’ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনের সুযোগ নেই।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশে যে গণহত্যা ঘটিয়েছে তার দায় নিয়ে তারা কিভাবে ফিরবে বা তাদের ফিরতে দেয়া হবে কি না সে সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হয়। আদালত রিট খারিজ করে দেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নানাভাবে বলার চেষ্টা করেছেন, শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তার আগ পর্যন্ত ভারতে থাকলেও তাকে চুপ থাকতে হবে। ভারতে থেকে তার রাজনৈতিক বিবৃতি দেয়া ‘অবন্ধুসুলভ আচরণ’। এসব মন্তব্য থেকে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে ড. ইউনূসের মনোভাব অস্পষ্ট থাকেনি।
ভয়ঙ্কর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের কবল থেকে দেশবাসী রক্ষা পাওয়ার পর দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অনেকে এমন সব মন্তব্য করছেন, যা তাদের অগোচরেই পতিত স্বৈরাচারকে পুনর্বাসনে সহায়তা করবে বলে অনেকের মনে হতে পারে। আমাদের বিশ্বাস, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঐকমত্যের ভিত্তিতে হতে পারে। কোনো দল বা ব্যক্তির সিদ্ধান্তে নয়।


আরো সংবাদ



premium cement
‘৫ আগষ্টের পর অনেকেই রূপ বদলে বিএনপি হয়েছেন’ বাংলাদেশীদের ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা জুরাইনে রিকশাচালকদের অবরোধ : ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী : আইএসপিআর বগুড়ায় যৌথবাহিনীর অভিযান : বিদেশী পিস্তলসহ ৩ আ’লীগ নেতা গ্রেফতার মুন্সীগঞ্জে মহাসড়কের পাশ থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার বুড়িচংয়ে অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের পরিবারের সাথে স্মরণসভা শ্রীপুরে মহিলা আ’লীগের সভাপতি গ্রেফতার মুডি’স রেটিং অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিফলন নয় : বাংলাদেশ ব্যাংক নাটোরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা জনগণের ভোটে নির্বাচিতদের হাতেই ক্ষমতা হস্তান্তর করব : ধর্ম উপদেষ্টা

সকল