২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
মহাসড়কের পাশে ভাগাড়

কর্তৃপক্ষ থেকেও নেই

-

মহাড়কের ওপর পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থেকে প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের কাপড়ে নাক ঢেকে চলতে হচ্ছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিত্র এটি। একটি জাতীয় দৈনিকের কুমিল্লা প্রতিনিধির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দাউদকান্দি পৌরসভা, বাজার এবং বিভিন্ন বাসাবাড়ির আবর্জনা এনে ফেলা হচ্ছে মহাসড়কের পাশে। দুর্গন্ধে যানবাহনের চালক, যাত্রীসহ পথচারীরা রয়েছেন চরম দুর্ভোগে। দীর্ঘদিন ধরে দুর্গন্ধের এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী, বাসের চালকসহ স্থানীয়রা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দাউদকান্দি পৌরসভার আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে। অনেক দিন ধরে ময়লা ফেলায় সড়কের কয়েকটি স্থান এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
দাউদকান্দি পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড এবং দাউদকান্দি বাজার থেকে বিপুল বর্জ্য বের হয়। এ বর্জ্য ফেলতে পৌরসভার নিজস্ব কোনো জমি না থাকায় ভাগাড় বা ডাম্পিং স্টেশন করা সম্ভব হয়নি। তাই কয়েক বছর ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের তালতলী এক্সপিড সিএনজি পাম্প এলাকায় দীর্ঘদিন ময়লা ফেলা হচ্ছে। বর্তমানে চার লেনের মহাসড়কের বেশ কিছু জায়গা ময়লার ভাগাড়ের দখলে। শুধু দাউদকান্দি পৌরসভার ময়লা নয়, গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড বাজারের ময়লাও ফেলা হয় এ মহাসড়কে।
মহাসড়কের দাউদকান্দি ১৫ কিলোমিটার অংশে কমপক্ষে তিনটি স্থানে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। অন্যদিকে, গৌরীপুর-হোমনা আঞ্চলিক সড়কের আখাউড়া স্বল্পপেন্নাই সংযোগ সড়কের মুখে এবং পৌরীপুর হাইস্কুল সংলগ্ন খালের মুখেও ফেলা হচ্ছে বাজারের ময়লা-আবর্জনা। এতে খালের মুখ বন্ধ হয়ে উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক হাজার হেক্টর কৃষিজমি অনাবাদি হয়ে পড়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের একটি সিএনজি পাম্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে সড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। প্রতিদিন শত শত মানুষ আমার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে আসেন, কিন্তু ময়লার দুর্গন্ধে বসতে পারেন না। পরিকল্পনামাফিক ময়লার ভাগাড় বা শোধনাগার করা প্রয়োজন।’
দাউদকান্দি উপজেলার একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘খোলা স্থানে বর্জ্য ফেলায় এলাকার মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি পড়ছে। পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এর ফলে ওই এলাকায় মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ছে। এ সবের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।’
দাউদকান্দি পৌর প্রশাসকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, ‘পৌরসভার নিজস্ব কোনো ডাম্পিং বা ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় এখন পর্যন্ত সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। তবে এভাবে চলতে পারে না। আমরা ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য পৌরসভার ভেতরে নিচু কোনো খাস জায়গা খুঁজছি।
এ ব্যাপারে কুমিল্লার পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জানান, ‘মহাসড়কটি পৌরসভা এলাকায়। তাই এর পরিবেশ রক্ষার দায়িত্বও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের। আমরা এ ব্যাপারে পৌরসভাকে নোটিশ করব।’


আরো সংবাদ



premium cement
শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে : শাহজাহান কপ-২৯ : ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে ২০০ মিলিয়ন বরাদ্দ দিতে ইইউ’র সমর্থন চাইল বাংলাদেশ আইসিসির পরোয়ানা : গ্রেফতার হবেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী? ছাত্র জমিয়তের ময়মনসিংহ জেলা কমিটি গঠন সবার আগে নির্বাচনী সংস্কার দরকার : এ্যানি হাসিনার নেয়া প্রতিটি রক্তের ফোটার বিচার হবে : ইসহাক খন্দকার ডেঙ্গুতে আরো ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪৫৮ রেলওয়ে কারখানাকে আধুনিকায়ন করে জনবল নিয়োগ দেয়া হবে : রেল উপদেষ্টা বর্ণিল আয়োজনে বশেমুরকৃবির ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত জামায়াত কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় : গোলাম পরোয়ার বাংলাদেশ এখন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে : শামা ওবায়েদ

সকল