২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
কাজ করছে না স্থানীয় সরকার অফিস

চরমভাবে বিঘ্নিত জনসেবা

-

জনগণের সেবায় স্থানীয় সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাষ্ট্রের কাঠামো এমনভাবে সাজানো- জনসাধারণকে প্রতিদিন এখান থেকে সেবা নিতে হয়। কোনো কারণে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা অনুপস্থিত হলে দৈনন্দিন সেবা নিতে আসা নাগরিকরা বিপদে পড়েন। গণ-অভ্যুত্থানে মাফিয়া হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সারা দেশে অবৈধভাবে জুড়ে বসা অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি পালিয়ে যান। এ অবস্থায় জরুরি সেবা মুখথুবড়ে পড়ে। অন্তর্বর্তী সরকার অধিকাংশ জায়গায় প্রশাসক নিয়োগ করলেও সেবা কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। বহু এলাকায় এখনো একটি সেবাও পাওয়া যাচ্ছে না। দ্রুততার সাথে সব জায়গায় যোগ্য প্রশাসক নিয়োগ করে জনসেবা পুনরায় চালু না করলে এতে জন অসন্তোষ বাড়তে পারে।
জেলা ও উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মেয়র ও কাউন্সিলর অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অন্য দিকে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের রাখা না রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রশাসকদের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকারের এসব অফিসে জন্মনিবন্ধন ও সনদ, মৃত্যু সনদ, নাগরিক সনদ সরবরাহ করে। এ দিকে বিভিন্ন পরীক্ষার নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার আইডি, পাসপোর্ট গ্রহণ, ব্যবসায়-বাণিজ্য, নানা ধরনের সম্পদ কেনাবেচাসহ বহু কাজে এগুলোর দরকার। প্রতিদিন নানা ধরনের কাজে মানুষ স্থানীয় সরকারের অফিসে আসছেন। তবে অন্তর্বর্তী সময়ে নাগরিকরা কার্যকর সেবা পাচ্ছেন না। সারা দেশে এসব অফিস স্থবির হয়ে রয়েছে।
ঢাকা শহরে দেখা যাচ্ছে, বহু কাউন্সিলর পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেকে অফিসে আসছেন না। এমনকি তাদের অধীনস্থ কর্মচারীরাও নেই। কিছু কাউন্সিলর অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন কিন্তু কোনো কাজ করছেন না। সিটি করপোরশেনগুলোর কিছু ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা বরখাস্ত হননি। সেগুলোতে প্রশাসকও নিয়োগ দেয়া হয়নি। অথচ তারা অফিসে উপস্থিত থাকছেন না। কিন্তু সেবামূলক কার্যক্রম অচলাবস্থা তৈরি করে রেখেছেন। প্রতিদিন অত্যন্ত জরুরি কাজে নাগরিকরা এসে এসব অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন। অবশেষে কোনো সেবা না পেয়ে বঞ্চিত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসায়িক জরুরি প্রয়োজনে কিংবা পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে প্রয়োজনীয় সনদ সংগ্রহ করতে এসে ব্যর্থ হচ্ছেন এমন মানুষও রয়েছেন। জরুরি এ সেবা কখন থেকে চালু হবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। দায়িত্ব নিয়ে অফিসগুলোতে কেউ কথা বলছেন না। কাউন্সিলর ও তার অধীনস্থ কর্মকর্তাদের ফোন করে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় সেবা গ্রহীতারা অসহায় বোধ করছেন।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি। যারা বিভিন্ন জায়গায় জনপ্রতিনিধি হয়েছেন তাদের বেশির ভাগ আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে তার দলের জনপ্রিয় অনেক নেতাও জনপ্রতিনিধি হয়ে আসতে পারেননি। ক্ষমতাসীনদের একটি চক্র নিরঙ্কুশভাবে নির্ধারণ করত কে মেয়র, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর হবেন। এ ক্ষেত্রে বিবেচনা ছিল কে কত টাকা দিতে পারবেন সিন্ডিকেটকে। তারা যেমন অর্থ দিয়ে এগুলো কিনতেন একইভাবে তারাও জনগণকে শোষণ করে অবৈধভাবে সেই টাকা উঠিয়ে নিতেন বহুগুণে। গণ-অভ্যুত্থানের পর এরা প্রায় সবাই উধাও হয়ে গেছেন। কিছু জায়গায় তারা সেবা না দিয়ে এ কার্যক্রমে এখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রথমে শনাক্ত করতে হবে সেসব অবৈধ জনপ্রতিনিধি যারা জনসেবায় বিঘœ ঘটাচ্ছেন। সেসব জায়গায় নতুন প্রশাসক নিয়োগ দিতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে আশুলিয়ায়, এখনো বন্ধ ১৬ কারখানা বৈরুতে ইসরাইলি হামলার পর ‘খুবই উদ্বিগ্ন’ জাতিসঙ্ঘ ইসরাইল-হিজবুল্লাহর পাল্টা-পাল্টি হামলা, পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের শঙ্কা নানা বিপর্যয় পেরিয়ে শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরু চট্টগ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর পক্ষে-বিপক্ষে যত যুক্তি কিয়েভ বেলারুশের বিরুদ্ধে গেলে ‘মারাত্মক পরিণতি’ সম্পর্কে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে অভিবাসী অনুপ্রবেশের হার কমেছে, বলছে হোয়াইট হাউস চেন্নাই টেস্টের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে চায় বাংলাদেশ রাঙ্গামাটিতে একদিকে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ, অন্যদিকে পরিবহণ ধর্মঘট

সকল