চট্টগ্রাম বন্দরকে শিল্পাঞ্চলের সাথে যুক্ত করবে নতুন রেল-সড়ক সেতু, অবদান রাখবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ জুন ২০২৪, ১৫:০৫
নির্মাণ শেষ হলে কর্ণফুলী নদীর ওপর রেল-সড়ক সেতুটি চট্টগ্রাম বন্দর ও শিল্পাঞ্চলের মধ্যে একমাত্র দ্বৈত উদ্দেশ্যসম্পন্ন সেতু হিসেবে কাজ করবে।
রোববার ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস বলেছে, যা উল্লেখযোগ্যভাবে সরবরাহ ব্যয় হ্রাস করবে, বাণিজ্য পুনরুজ্জীবিত করবে এবং ফলস্বরূপ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে যথেষ্ট অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মোট ১.২৪ বিলিয়ন ডলার প্রকল্প ব্যয়ে প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার শূন্য দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার এবং বাকি শূন্য দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার দক্ষিণ কোরিয়ার ইডিসিএফ ও ইডিপিএফ সরবরাহ করবে।
উল্লেখযোগ্যভাবে এ প্রকল্পটি ইডিসিএফ সমর্থিত বৃহত্তম প্রচেষ্টা এবং বাংলাদেশে ইডিসিএফ ও ইডিপিএফ থেকে যৌথ অর্থায়নের প্রথম উদাহরণ।
চট্টগ্রামের কালুরঘাট পয়েন্টে কর্ণফুলী নদীর উপর রেল-সড়ক সেতু নির্মাণে শূন্য দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি সই করেছে কেক্সিম।
এই ঋণের মধ্যে ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) থেকে শূন্য দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার ও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটি (ইডিপিএফ) থেকে শূন্য দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ রয়েছে।
এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অব কোরিয়ার (কেক্সিম) চেয়ারম্যান ও সিইও হি-সুং ইউন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী ঋণ চুক্তিতে সই করেন।
২৭ জুন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কার্যালয়ে এ চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হয়। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ইয়ং-সিক পার্কও উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস বলেছে, এই ঋণ চুক্তিটি ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের বিস্তৃত অবকাঠামো উন্নয়নের চাহিদা মেটাতে বিশেষভাবে নকশা করা একটি উপযুক্ত অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স (ওডিএ) প্রতিষ্ঠা করে, যা কোরিয়ান সরকারের বৈদেশিক নীতি এজেন্ডার একটি প্রধান উপাদান।
কেক্সিমের চেয়ারম্যান ও সিইও হি-সুং ইউন ঋণ চুক্তি সই অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার সংসদ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
তিনি বলেন, ‘কোরিয়া সরকার বাংলাদেশের প্রশংসনীয় অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেছে।’
তিনি আরো বলেন, উদ্ভাবনী শিল্প উন্নয়ন নীতি প্রণয়নে বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার এবং কেক্সিম ইডিসিএফ ও ইডিপিএফের সাথে বাংলাদেশের শিল্প উন্নয়নে তাদের সমর্থন আরো জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা