২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

প্রকল্পে ধীরগতির খেসারত দিবে রাষ্ট্র

প্রকল্পে ধীরগতির খেসারত দিবে রাষ্ট্র - ছবি : সংগৃহীত

প্রকল্প বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপণ ও ধীরগতির কারণে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের আগে প্রকল্প থেকে সুফল পাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হলো। অন্য দিকে, তিতাসের ফিল্ড লোকেশন-এ ওয়েলহেড কম্প্রেসার স্থাপন প্রকল্পের ধীরগতিতে বাস্তবায়নের খেসারত দিতে হবে রাষ্ট্রকে। ঋণের অর্থ খরচ করতে না পারায় পুরো ঋণের টাকার ওপরই ০.২৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ গুনতে হবে।

কাজ না হওয়াতে মাত্র এক শতাংশ অর্থছাড় হওয়াতে এই খেসারত দিতে হচ্ছে। প্রকল্পে অগ্রগতি না থাকলেও পরামর্শক খাতে ব্যয় তিন কোটি টাকা বৃদ্ধির অগ্রগতি রয়েছে বলে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা সূত্রে জানা গেছে। চার বছর পাঁচ মাসে বা ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ১.২২ শতাংশ বা ১১ কোটি ১০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

তিতাস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির (বিজিএফসিএল) আওতাধীন বিভিন্ন ফিল্ডের কূপসমূহ থেকে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে উত্তোলিত গ্যাসের চাপ ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে। তিতাস গ্যাস ফিল্ড থেকে ১৯৬৮ সালে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উৎপাদন শুরু হয়। খননকৃত কূপগুলোর ফ্লোয়িং ওয়েলহেড চাপ শুরুর দিকে ২৮ শ’ থেকে ৩২ শ’ পিএসআইজি ছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময় উৎপাদনে থাকার কারণে এই চাপ কমে যাচ্ছে। বর্তমানে তিতাসের ১, ২, ৪, ৫, ৭, ১৫, ২০, ২১ ও ২২- এই ৯টি কূপ রয়েছে।

এসব থেকে দৈনিক উৎপাদিত প্রায় ২৩ থেকে ২৩ কোটি পাঁচ লাখ ঘনফুট গ্যাস তিতাস ফিল্ডের লোকেশন-এ তে অবস্থিত প্রসেসর প্ল্যান্টের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে। এরপর তা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু কূপগুলোতে ফ্লোয়িং ওয়েলহেড চাপ প্রতি বছরই কমছে। যার কারণে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ চাপও কমছে। জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ চাপ অব্যাহত রাখতে হলে তিতাস ফিল্ডের লোকেশন-এ তে সাতটি কম্প্রেসার স্থাপন ও সমন্বয় জরুরি হয়ে পড়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement