০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১, ৮ রজব ১৪৪৬
`

গ্রামীণ ব্যাংকে কমতে পারে সরকারি মালিকানার অংশীদারিত্ব

- ছবি : সংগৃহীত

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের একটি উল্লেখযোগ্য পুনর্গঠন করতে যাচ্ছে। এতে সরকারের মালিকানার অংশীদারিত্ব কমানোসহ এর বোর্ড ব্যবস্থাপনা কাঠামোও পুনর্গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী, গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের অংশীদারিত্ব ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। অধ্যাদেশে ২০১৩ সালের গ্রামীণ ব্যাংক আইন সংশোধনেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ব্যাংকটির পর্ষদে সরকার নিযুক্ত পরিচালকের সংখ্যা তিনজন থেকে কমিয়ে একজন করার কথা বলা হয়েছে।

এছাড়াও ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের কর্তৃত্বকে কমানো হয়েছে। এর পরিবর্তে ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের প্রতিনিধিসহ ১২ সদস্যের একটি বোর্ড স্বাধীনভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচন করবে।

এসব পরিবর্তন বাস্তবায়িত হলে গ্রামীণ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন শক্তিশালী হবে এবং সরকারি হস্তক্ষেপকে সীমিত করবে। এসব পরিবর্তনের ফলে ব্যাংকটির পরিচালনার ওপর ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়বে।

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকটি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের প্রতীক। অধ্যাপক ইউনূস ২০১১ সাল পর্যন্ত ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার বয়সের কারণ দেখিয়ে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে। তৎকালীন সরকারের পদক্ষেপটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচিত হয়।

প্রস্তাবিত সংস্কারে গ্রামীণ ব্যাংক যাতে অধিকতর স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়, তা নিশ্চিত করার ওপর নতুন করে জোর দেয়া হয়েছে।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement