শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য আমদানি নীতিমালা শিথিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ২১:০১, আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ২১:০৪
বাংলাদেশ ব্যাংক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য আমদানি সহজ করতে নতুন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে। যাতে তারা একটি চুক্তির চিঠির মাধ্যমে প্রথাগত ক্রেডিট লেটার (এলসি) ছাড়াই অগ্রসর হতে পারে। বাণিজ্য নমনীয়তা বাড়ানোর লক্ষ্যে এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক বিনিময় ও নীতি বিভাগ থেকে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, নতুন নির্দেশনায় প্রাথমিকভাবে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলের (ইজেড) মতো বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমদানি সুবিধা হবে।
প্রজ্ঞাপনে স্বল্পমেয়াদি আমদানি ঋণের বিধানের রূপরেখা দেয়া হয়েছে, যা স্ট্যান্ডার্ড ব্যবস্থার আওতায় বিদেশী পণ্যের অব্যাহত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে।
নতুন ব্যবস্থায় আমদানিকারকরা তাদের আমদানি দায় নিষ্পত্তির জন্য স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ স্বাধীনভাবে সুরক্ষিত করতে পারবেন। তদুপরি, বিদেশী ঋণদাতাদের এলসি, স্ট্যান্ডবাই লেটার অব ক্রেডিট (এসবিএলসি) বা সরবরাহকারীদের নিশ্চয়তা দেয়ার অনুমতি দেয়া হবে। মূল ঋণের পরিমাণ এবং কোনো সম্পর্কিত সুদ উভয়ই ঋণের সম্মত শর্ত অনুসারে পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়া স্বল্পমেয়াদি আমদানি ঋণের সুবিধার্থে করপোরেট, ব্যক্তিগত বা তৃতীয় পক্ষের গ্যারান্টির সাধারণ অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটি আমদানিকারকদের তাদের আর্থিক বাধ্যবাধকতা পরিচালনায় আরো নমনীয়তা দেয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, চুক্তির আওতায় বাণিজ্যিক আমদানি ৬০ দিন পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের সময়সীমাসহ স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ সুবিধা থেকে উপকৃত হবে, যা বৈদেশিক বাণিজ্যে নিয়োজিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে অতিরিক্ত সহায়তার প্রস্তাব দেবে।
শিল্প সংশ্লিষ্ট নেতারা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা তুলে ধরেছেন, নতুন সিস্টেমটি তৃতীয় দেশের আমদানি বা তৃতীয় দেশের এলসি সম্পর্কিত অস্পষ্টতা দূর করে।
সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা