মসজিদে মুসল্লি গমন ও সময় সীমিত করা হচ্ছে
- ফয়েজ উল্লাহ ভূ্ইঁয়া
- ২৪ মার্চ ২০২০, ০৬:২০
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আপাতত মসজিদ বন্ধ করা হচ্ছে না। তবে অসুস্থ, বয়স্কদের নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি অন্যদেরও ব্যক্তিগতভাবে সতর্কতামূলক সকল নির্দেশনা অনুসরণ করেই শুধুমাত্র ফরজ নামাজের জামাতে অংশ নিতে স্বল্প সময়ের জন্য মসিজদে যেতে নির্দেশনা দেয়া হতে পারে।
এ লক্ষ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন আলেমকে মতামত দেয়ার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সরকারের চিন্তা ও আলেমদের মতামতের সমন্বয়ে আজ মঙ্গলবারই ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) ঘোষণা দিতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ইফা মহাপরিচালক (ডিজি) আনিস মাহমুদ মঙ্গলবার সকালে সংস্থার আগারগাঁও কার্যালয়ে ঢাকায় অবস্থানরত কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় আলেমকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এর মধ্যে একটি ইসলামি গবেষনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক, মিরপুরের একটি মাদরাসার পরিচাল, বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমামসহ কয়েকজন মুফতিও রয়েছেন। ফোনে কথা বলেও মতামত নিয়েছেন ঢাকা ও বাইরের আরো বেশ কয়েকজন আলেমের। যারা বৈঠকে যেতে অনিচ্ছুক তাদেরকে সুনির্দিষ্ট মতামত দিতে বলা হয়েছে। বৈঠক থেকেও টেলি-কনফারেন্সের মাধ্যমে মতামত নেয়ার চিন্তা রয়েছে। এরপরই ইফা ডিজি মসজিদে নামাজের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট সরকারি নির্দেশনা ঘোষণা করতে পারেন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা হয়। মন্ত্রী পরিষদ সচিবও প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এ ব্যাপারে আলেমদের সাথে আলোচনা করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। মিরপুরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু এবং তার সংস্পর্শে আসা আরো তিনজন সংক্রমিত হওয়ার কারণে মসজিদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও মন্ত্রী পরিষদ সচিব জানান।
জানা গেছে, ধর্মীয় সেন্টিমেন্টসহ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর আপাতত মসজিদ বন্ধের দিকে যাবেনা সরকার। তবে মসজিদে উপস্থিতি ও সময় একেবারেই সীমিত করা হবে। এ লক্ষ্য নিয়েই আলেমদের মতামত নেয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাসা থেকে অজু করে গিয়ে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে শুধু ফরজের জামাতে শরিক হওয়া, আজানের অল্প সময় পরই জামাত শুরু করা, এরপর অন্য কোনো নামাজ মসজিদে না পড়ে দ্রুত মসজিদ ত্যাগ, নামাজে কেরাত সংক্ষিপ্ত করা, মসজিদের ভেতরেও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা এবং জীবাণুনাশক স্প্রে করার মতো নির্দেশনা আসতে পারে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর আগে বয়স্ক, রোগী বিশেষ করে হাঁচি কাশিতে আক্রান্ত এবং বিদেশফেরতদের মসজিদে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজেও অযু করে সুন্নাত-নফল নামাজ বাসায় পড়ে জামাতে অংশ নেয়ার অনুরোধ জানানোর। শনিবার লাইলাতুল মিরাজ উপলক্ষে নফল নামাজসহ ইবাদাত বন্দেগি বাসায় করার অনুরোধ জানানো হয়। বায়তুল মোকাররমে অন্যান্য বছরের মতো ওয়াজ ও দোয়ার কর্মসুচী ঘোষণাই করা হয়নি।
সর্বশেষ করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আরো অবনতিতে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা এবং স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানসহ সরকারি সকল অনুষ্ঠান বাতিল করার পর মসজিদের ব্যাপারে আরো সুনিদিষ্ট গাইডলাইন দেয়ার বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে সেটি আলেমদের মতামদের সাথে সমন্বয় করেই দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সৌদি আরব মসজিদুল হারামাইানসহ সকল মসজিদ, কুয়েত, মিসর, মালয়েশিয়াসহ কয়েকটি দেশে মসজিদে নামাজ ও জামাত বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা