ফাইজারের টিকার প্রথম চালান বাংলাদেশে, স্বাগত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০১ জুন ২০২১, ১৬:২১
বাংলাদেশে ফাইজার/বায়োএনটেকের কোভিড-১৯ টিকার এক লাখ ছয় হাজার ডোজ টিকা পৌঁছানোকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ন্যায্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে গৃহীত বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্টের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের এই প্রথম চালানটি বাংলাদেশে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ন্যায্যতার সাথে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে সর্ববৃহৎ দাতা দেশ হিসেবে ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক জোট গাভি-কে পরিকল্পিত চার বিলিয়ন ডলার সহায়তার অংশ হিসেবে সম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এটা দিয়ে গাভি কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্টের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ন্যায্যতার সাথে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে। কোভিড-১৯ মহামারী এই বার্তাই দিয়েছে যে বৈশ্বিক মহামারীর বিরুদ্ধে কোনো একটি দেশ একা কাজ করতে পারে না।
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক অংশীদাররা এই মহামারী মোকাবিলায় একসাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে। রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ‘আমরা এই অভূতর্পূব বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সঙ্কটসহ ভবিষ্যতের সঙ্কটগুলো মোকাবিলায় আরো বেশি সংগঠিত ও সহনশীল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির মাধ্যমে কোভ্যাক্সকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান নিরাপদ ও কার্যকর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্রয় ও এই ভ্যাকসিন বিশ্বের ৯২টি নিম্ন ও মধ্যমআয়ের দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অরক্ষিত মানুষের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।
এই সহায়তা বর্তমান মহামারি নিয়ন্ত্রণ, নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি স্লথ করে দেয়া ও বৈশ্বিক র্অথনীতি পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মিলার বলেন, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারি কার্যক্রমকে জোরদার করতে এখন পর্যন্ত ইউএসএআইডি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর (ডিওডি) ও যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) মাধ্যমে ৭৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা দিয়েছে। এই সহায়তা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত বাংলাদেশীদের চিকিৎসা দিতে ও জীবন বাঁচাতে, পরীক্ষার সামর্থ্য জোরদার করা ও নজরদারি বাড়তে, কোভিড-১৯-এর মোকাবিলা, সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণমূলক চর্চাগুলো বাড়াতে সহায়ক হবে।
সূত্র : বাসস