পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৬:২৩
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে পাকিস্তানের সরকারি ওয়েবসাইটে অবমাননাকর লেখা প্রকাশের প্রতিবাদে ঢাকায় দেশটির ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার শাহ ফয়সাল কাকরকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গতকাল বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক তারেক মোহাম্মদ পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করেন। তারেক মোহাম্মদ জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে পাকিস্তানের সরকারি ওয়েবসাইটে মানহানিকর বিভিন্ন লেখা প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জানতে এবং এর প্রতিবাদ জানাতে শাহ ফয়সাল কাকরকে ডাকা হয়েছিল। তিনি বলেন, এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। পাশাপাশি লিখিত একটি প্রতিবাদপত্রও ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে দেয়া হয়েছে। তবে তলবের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শাহ ফয়সাল কাকর। তিনি বলেছেন, মিটিং ছিল তাই এসেছিলাম। বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নতুন নিয়োগকে কেন্দ্র করে টানাপড়েনের কারণে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনারের পদটি প্রায় এক বছর ধরে খালি রয়েছে। পাকিস্তানের সর্বশেষ হাইকমিশনার ছিলেন রফিকুজ্জামান সিদ্দিকী। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তিনি ইসলামাবাদ চলে গেছেন। গত মাসে পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার হিসেবে পেশাদার কূটনীতিক সাকলাইন সাইয়াদাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায় বাংলাদেশ। তার পরিবর্তে এই পদে নতুন নাম চাওয়া হয়েছে।
ঢাকায় নতুন হাইকমিশনার হিসেবে গত বছরের প্রথমার্ধেই সাকলাইন সাইয়াদার নাম প্রস্তাব করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাব অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান - কোনোটাই না করে বিষয়টি দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রেখেছিল। এ ব্যাপারে পাকিস্তান বারবার তাগাদা দিলেও বাংলাদেশ সাড়া দেয়নি। অবশেষে গত ৩০ জানুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে সাকলাইন সাইয়াদাকে ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার হিসেবে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতির কথা জানিয়ে দেয়।
ঢাকায় গত বছর অনুষ্ঠিত ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে সাকলাইন সাইয়াদার ভূমিকা বাংলাদেশের কাছে আপত্তিকর মনে হয়েছিল। এটাই তাকে হাইকমিশনার হিসাবে গ্রহণে অস্বীকৃতির কারণ বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপির চেষ্টা অব্যাহত
সংসদ প্রতিবেদক
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা লাভের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আমরা জিএসপি সুবিধার জন্য ১৬ শর্ত পূরণ করেছি। বাকি থাকলে সেটাও পূরণ করব। কিন্ত তারপরও সুবিধা ফেরত পাওয়ার সিদ্ধান্তটি কি আসবে? আমরা জানতে চেয়েছি ব্যাপারটা রাজনৈতিক কি না। তবে যে সব পণ্যে জিএসপি সুবিধা পেতাম তাতে জিএসপি বন্ধ হওয়া খুব একটা মেটার করে না।
সংসদে প্রশ্নোত্তরে গতকাল লিখিত ও সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তরপর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
অসীম কুমার উকিলের (নেত্রকোনা-৩) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তারাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের সুবিধা এখনো পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম টিকফা কাউন্সিল চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা লাভের নিমিত্তে চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আব্দুর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জিএসপির কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যা রফতানি হয় তার ৯০ ভাগই হচ্ছে তৈরী পোশাক। তৈরী পোশাকের ক্ষেত্রে জিএসপির কোনো প্রভাব পড়ছে না। প্রভাব পড়ছে অন্য কিছু আইটেমের উপরে, যেটা খুব বেশি একটা মেটার করে না। তারপরেও আমরা মনে করি, তারা যে ১৬টি শর্ত দিয়েছিল সেগুলো আমার পূর্বসূরি তোফায়েল সাহেব অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পূরণের চেষ্টা করেছেন। আমিও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা বলেছি, আবারো সেই প্রশ্ন তুলেছি। ‘আমরা ১৬ শর্ত পূরণ করেছি বা যেগুলো বাকি আছে সেটাও আমরা করব, কিন্তু তারপরেও কি সিদ্ধান্তটা আসবে? আমি জানতে চেয়েছি। আসলে ব্যাপারটা রাজনীতির কি না? যাই হোক আমরা কথাবার্তা চালাব।
ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তারা প্রশ্ন তুলেছে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে, আমাদের সংসদে আইন আছে সেটাও হয়ে যাবে। আশাকরি, জিএসপির ব্যাপারটা আমরা সমাধান করতে পারব। টিকফা নিয়েও আলোচনা চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানি পণ্যের চিত্র তুলে ধরে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমরা প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার রফতানি করি। আর ওদের ওখান থেকে আসে এক দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। আমরা অনেক বেশি রফতানি করি, কাজেই ওদেরও অনেক কথা আছে।
যুক্তরাত্র ট্যাক্স নিচ্ছে কথাটি সত্য। যদি শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতাম তাহলে ভালো হতো। কিন্তু তারা তো দিচ্ছে না, চেষ্টা করছি। আমেরিকা বড় দেশ তাদের অর্থনীতিতে আমাদেরও অবদান আছে। কাজেই আগামীতে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা