১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

চুরি হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : সিএ প্রেস উইং

- ছবি : বাসস

চুরি হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস অফিসের এক বিবৃতিতে সরকারের এই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং চুরি হওয়া অর্থ বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফেরত আনতে বিশ্বজুড়ে অংশীদারদের সাথে কাজ করব।’

অর্থ পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশের বেশিভাগ মানুষ ন্যায়বিচার দাবি করে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘জনগণের অর্থ ও সম্পদ চুরির ঘটনা এবং বিগত সরকারের লোকজন যারা এই সম্পদ চুরির সাথে জড়িত, তা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আওতায় আনা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘যদি আত্মসাৎ থেকে লাভবান হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে আমরা আশা করি, সেই সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত দেয়া হবে, যেখানে জনগণের ন্যায্য মালিক।’

লন্ডনের দ্য সানডে টাইমস পত্রিকাকে এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন, তিনি হয়তো লন্ডনে সুনির্দিষ্ট অর্থ ও সম্পত্তির উৎস সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না, তবে এখন তিনি তা জানেন। তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সাথে সরকার কাজ করছে, যাতে জনগণের অর্থ চুরি হওয়ার ঘটনা চিহ্নিত ও তা উদ্ধার করা যায়। এই ধরনের সহযোগিতা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অপরাধের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়।

বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা আশা করি এবং বিশ্বাস করি, যুক্তরাজ্যসহ সব বন্ধুপ্রতিম সরকার এই অপরাধগুলোর জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে। দুর্নীতি, যারা এটি করে তারা এবং তাদের কিছু প্রিয় আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধব ছাড়া বাকি সকলকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে।’

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দুর্নীতির তদন্ত পূর্ববর্তী সরকারের দুর্নীতির মাত্রা কেমন ছিল, তা চিহ্নিত করেছে। এ ধরনের প্রকল্পে জনগণের সম্পদের অপব্যবহার শুধু বাংলাদেশের জনগণকে বঞ্চিত করেনি, বরং দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার পথেও বাধা সৃষ্টি করেছে।

বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোটি কোটি ডলারের সরকারি তহবিল চুরি বাংলাদেশকে একটি উল্লেখযোগ্য আর্থিক ঘাটতির মধ্যে ফেলেছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশ থেকে চুরি করা তহবিল তার জনগণের। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাব।’

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
এনসিটিবি ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে হামলা সংস্কার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা কে হবে মিয়ানমারের আগামীর নীতিনির্ধারক ফ্যাসিবাদীরা বিদেশে অর্থ পাচার করে অর্থনীতি ধ্বংস করেছে : সেলিমা রহমান নোবিপ্রবির সাথে চীনের শিহেজী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর মতিউরের স্ত্রী কানিজ কারাগারে, রিমান্ড শুনানি ১৯ জানুয়ারি মহেশখালীতে প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বে যুবক খুন নাটোরে অগ্নিসংযোগের মামলায় দুলুসহ ৯৪ খালাস ক্রিড়া মন্ত্রণালয় ফ্যাসিবাদমুক্ত হওয়া উচিৎ : নূরুল ইসলাম বুলবুল ব্রাজিলের বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন চট্টগ্রাম বিএনপি নেতা শামীমকে শোকজ, সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দিলে শাস্তি

সকল