৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ৩০ রজব ১৪৪৬
`
ব ই আ লো চ না

‘জামায়াত স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল না’

সাহাদত হোসেন খানের নতুন বই
-

সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কোনো একটি বিষয়ে সব মানুষ একমত হতে পারেনি। একাত্তরে জামায়াত মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে দ্বিমত পোষণ করেছে। গণতান্ত্রিক সমাজে দ্বিমত পোষণ করার অধিকার স্বীকৃত। কিন্তু জামায়াতের সাথে যে অন্যায় করা হয়েছে কোনো সভ্য সমাজে অন্য কারো সাথে অনুরূপ অন্যায় করার নজির নেই। লেখক সাহাদত হোসেন খান আলোচ্য বইটিতে জামায়াতের প্রতি এ সীমাহীন অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন।
লেখক বইটিতে লিখেছেন, খান আবদুল গাফফার-এর জ্যেষ্ঠ ভাই আবদুল জব্বার খান (ডা: খান সাহেব) ভারত বিভক্তির তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন এবং ১৯৪৬ সালে পাকিস্তানে যোগদান প্রশ্নে সীমান্ত প্রদেশে গণভোট বর্জন করেছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মিত্র। ১৯৩৭ সালে তার দল ফ্রন্টিয়ার ন্যাশনাল কংগ্রেস ভারতীয় কংগ্রেসের সাথে জোট করে সীমান্ত প্রদেশে সরকার গঠন করে এবং ডা: খান সীমান্ত প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন। পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করার পর তিনি নয়া দেশের আনুগত্য স্বীকার করেন। স্বাধীনতার বিপক্ষে থাকলেও ১৯৫৪ সালে তিনি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী এবং ১৯৫৫ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন। পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করলেও তার ক্যারিয়ারের চুল পরিমাণ ক্ষতি হয়নি।
লেখক বইটিতে আরো লিখেছেন, আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন চাইত, স্বাধীনতা নয়। অধ্যাপক গোলাম আযম বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ পাকিস্তানের ভাঙন চাননি। তার মানে এই নয় যে, তিনি ২৫ মার্চের ক্র্যাকডাউন এবং বাঙালি হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করেছেন। ইয়াহিয়া খানের দোষ তিনি পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে দেয়ার পক্ষপাতি ছিলেন না। তবে সব অশান্তির মূল ইয়াহিয়া খান ও জুলফিকার আলী ভুট্টোকে তিনি সর্বান্তকরণে ঘৃণা করতেন।
লেখক আরো লিখেছেন, কোনো কোনো সত্য প্রকাশ পেতে সময় লাগে। একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকার অন্তর্নিহিত সত্য তখনকার প্রজন্মের কাছে অন্যায় বলে গণ্য হলেও সময়ের পরিক্রমায় বিশেষ করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। ভারত কখনো বাংলাদেশের পক্ষে ছিল না, তাদের তাঁবেদার আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিল। ভারতের দৃষ্টিতে আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের সব দল ‘জঙ্গি, সন্ত্রাসী, ইসলামী মৌলবাদী।’ ঔপনিবেশিক শক্তি ছাড়া অন্য কেউ এ ধরনের মানসিকতা পোষণ করে না। ৫৩ বছরে প্রমাণিত হয়েছে যে, একাত্তরে এ জাতি স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি, অর্জন করেছিল ভারতের আধিপত্য। ভারতের আধিপত্যকে স্বাধীনতা ভেবে ভুল করা হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সহযোগিতাকে কৌশলগত বিনিয়োগ হিসেবে দেখেছে। শত্রু পাকিস্তানকে বধ করাই ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা করার মূল উদ্দেশ্য। জামায়াত একাত্তরে ভারতকে চিনতে পেরেছিল।
আওয়ামী লীগ ৬ দফা আদায়ে লড়াই করছিল। কিন্তু একাত্তরে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের সেøাগান তুলে ইসলামপন্থীদের ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলা হয়। মুসলিমবিদ্বেষী ভারত হয়ে দাঁড়ায় মুক্তিযুদ্ধের আশ্রয়স্থল। ইসলামপন্থীদের পক্ষে ঈমানের পরিপন্থী ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের সেøাগান দেয়া এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণে ভারতে আশ্রয় নেয়া সম্ভব ছিল না। তাই তারা মন্দের ভালো হিসেবে দেশের মাটি আঁকড়ে থাকে। লেখক এ জন্য বইটির নামকরণ করেছেন ‘জামায়াত স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল না।’ বইটি প্রকাশ করেছে আফসার ব্রাদার্স।


আরো সংবাদ



premium cement
চকরিয়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের ১৫ দিন পর আহত শাশুড়িরও মৃত্যু কিয়েভের বাহিনী অধিকৃত গ্রামে ২২ জনকে হত্যা করেছে : রাশিয়া ইসলাম ব্যাতিত সামাজিক সুবিচার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত সম্ভব নয় : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান চাঁদপুরে পিকআপভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল-আরোহী নিহত শনিবার সুনামগঞ্জে কর্মী সম্মেলনে যোগ দিবেন জামায়াত আমির ৮৯ শতাংশ ইসরাইলিই মনে করে, গাজায় তারা ব্যর্থ : জরিপ ময়মনসিংহে মোটরসাইকেল উল্টে দুই তরুণের প্রাণহানি সিলেটে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ২০ রংপুরে পাঁচ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন রুখতে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে : ড. আবদুল কাদের মেক্সিকোর সাথে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বারোপ আনসারীর

সকল