১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

চর্যাপদ : ধর্মতত্ত্ব ও সমাজ বাস্তবতা

চর্যাপদ : ধর্মতত্ত্ব ও সমাজ বাস্তবতা -

বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ। এই পদগুলো পাল শাসনামলে রচিত হয়। বৌদ্ধ সহজিয়া সম্প্রদায়ের সাধনসঙ্গীত হিসেবে পদগুলো রচিত হয়েছিল। ২৩ জন মতান্তরে ২৪ জন কবির রচিত ৫১টি পদকে বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন হিসেবে সবাই স্বীকার করে নিয়েছেন। মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে ১৯০৭ সালে পদগুলো আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ১৯১৬ সালে হাজার বছরের পুরাণ বাঙলাভাষায় বৌদ্ধ গান ও দেঁাহা নাম দিয়ে প্রকাশ করেন। ৫১টি পদের মধ্যে সাড়ে ছেচল্লিশটি পদ পাওয়া গেছে। চর্যাপদের রচনাকাল নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ও প্রবোধচন্দ্র বাগচীর মতে পদগুলো দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে রচিত হয়েছে। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও রাহুল সংকৃত্যায়নের মতে পদগুলো অষ্টম শতাব্দী থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে রচিত হয়েছে। চর্যাপদের রচনাকাল নিয়ে গবেষকদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও সবাই একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন চর্যাপদই বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন। সেন রাজারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন করলে বৌদ্ধধর্মের লোকেরা তিব্বতে পলায়ন করেন। পলায়নের সময় তারা তাদের রচিত দলিল দস্তাবেজের সাথে পদগুলোও নিয়ে যায়। কালের পরিক্রমায় পদগুলো নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালায় রক্ষিত ছিল। চর্যাপদের ভাষা নিয়ে বিস্তর মতভেদ থাকলেও চর্যাপদই হচ্ছে বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন। এর ভাষাকে সন্ধ্যাভাষা বা সান্ধ্যভাষা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। গৌড়ের অপভ্রংশ ভাষায় এই পদগুলো রচিত হয়েছে বলে সমালোচকদের বিশ্বাস। সন্ধ্যা বা সান্ধ্য ভাষা বলতে আলো-অঁাধারি ভাষা। বাংলা সাহিত্যের আদি যুগে অপভ্রংশের মধ্য দিয়ে ভাষার বিবর্তন হয়ে উন্নতি লাভ করে। ফলে চর্যাপদের ভাষা দুর্বোধ্য। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে যখন পদগুলো আবিষ্কার করেন তখন এর নাম ছিল চয্যর্চয্যর্বিনিশ্চয়। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশের সময় এর নাম দেন হাজার বছরের পুরাণ বাঙলাভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোঁহা। পদগুলো বৌদ্ধধর্মের পণ্ডিতরা তাদের সাধনসঙ্গীত হিসেবে রচনা করলেও এর সাহিত্যিক মর্যাদা অনস্বীকার্য। চর্যাপদ কবিতা বা গান হলেও এগুলোর মাধ্যমে ধর্মের গূঢ়তত্ত্ব বর্ণিত হয়েছে। ধর্মতত্ত্বের পাশাপাশি সমাজ বাস্তবতা অনিন্দ্য সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে চর্যাপদের পদগুলিতে। চর্যাপদের আদি কবি লুইপা। সবচাইতে বেশি পদ রচনা করেছেন কাহ্নপা ১৩টি পদ। পদগুলি বৌদ্ধ সহজিয়া সম্প্রদায়ের পণ্ডিতেরা রচনা করেছেন বলে এর পেছনে যেমন রয়েছে ধর্মতত্ত্ব তেমনি সমাজের বিচিত্র রূপ। আধ্যাত্মিকভাবে রচিত পদগুলো হয়ে উঠেছে ধর্মীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি সমাজচিত্রের কালজয়ী আখ্যান। বৌদ্ধ পণ্ডিতরা পদগুলোর রচনা করেছেন বলেই এই পদগুলোতে বৌদ্ধধর্মের অনেকগুলো তত্ত্বকথা প্রকাশিত হয়েছে। অনির্বাণ, যোগসাধনা, বোধিতত্ত্ব, পঞ্চতন্ত্র ইত্যাদি। যেমন-
কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল
চঞ্চল চীএ পইঠা কাল।
এখানে বলা হয়েছে শরীর বা মানবদেহ হচ্ছে তরুর সদৃশ পাঁচ ডাল বিশিষ্ট। চঞ্চল বা উগ্র দেহে মোহ প্রবেশ করে। এই রূপকে পদগুলোতে বৌদ্ধধর্মের পঞ্চতন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। চর্যাপদের অন্যত্র বলা হয়েছে-
মহারস পানে মাতাল রে তিহু অন সঅল উএখী
পঞ্চ বিষয়রে নায় করে বিপখ কোবী ণ দেখী।
উপযুর্ক্ত পদে যারা ধর্মীয় বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে যোগসাধনায় মত্ত হয় তারা ধর্মের দিকে আসক্ত হয়ে পড়ে। এবং ধর্মের (বৌদ্ধধর্মের) পঞ্চতন্ত্র বিষয়ে মহাজ্ঞান লাভ করে; ধর্মের প্রতি অনুরক্ত হয়। যত বাধা-বিপত্তি আসুক না কেন তারা ধর্মকে অবলম্বন করে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে বুদ্ধত্ব লাভ করে। ফলে তারা পৃথিবীর কারো কাছে ভয়ে নত হয় না। অন্যত্র বলা হয়েছে-
ভাব ন হোই অভাব ণ জাই
আইস সংবোহে কো পতিআই।
আলোচ্য পদগুলোতে বলা হয়েছে, যারা যোগসাধনায় মত্ত হয়েছে তারা যতই সাধনা করুক না কেনো তাদের সাধনার আকাঙ্ক্ষা মিটে না। এখানে ধর্মের প্রতি আহ্বান করা হয়েছে। ধর্মের সংমিশ্রণে এসে রিপুর কুমন্ত্রণাকে দূরীভূত করার কথা বলা হয়েছে। এভাবেই চর্যাপদের পদগুলোতে ধর্মতত্ত্বের কথা চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
চর্যাপদের কবিরা ছিল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তাই তাদের পদগুলোতে বৌদ্ধধর্মের রীতিনীতি ও ধর্মীয় সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। ধর্মতত্ত্বের পাশাপাশি সমাজচিত্রের কথা দারুণভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে। যেমন-
টালত ঘর মোর নাহি পড়বেসী
হাড়িত ভাত নাহি নীতি আবেশী।
এখানে কবি বলতে চেয়েছেন পাহাড়ের চূড়ার নির্জন নিস্তব্ধতায় আমার ঘর। প্রতিবেশী কেউ নেই। কিন্তু নিত্য অতিথি আসে তাদের আপ্যায়নের জন্য বা খাবারের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য নেই। দারিদ্র্যতার করালগ্রাসে নিষ্পেষিত হওয়ায় সামর্থ্যহীনতার কথা কবি নির্দ্বিধায় বলেছেন। অতিথির আনাগোনার মাধ্যমে তিনি বুঝাতে চেয়েছেন সামাজিক সম্প্রীতি ও আত্মীয়তার সম্পর্কের কথা। অথবা এখানে সাধনতত্ত্বের কথা বলা হয়েছে। পৃথিবীর আকর্ষণ অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে ধরলেও নির্জন প্রান্তরে সাধনলাভের কথা বলতে চেয়েছেন। কিংবা নিজের পাপিষ্ঠতাকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। যদি সমাজ বাস্তবতা ধরা হয় তাহলে ধরা যায়, অভাব অনটনের কথা। অভাব অনটনের সময় কেউ কারো পাশে থাকে না এটা স্বাভাবিক নিয়ম। কিংবা দেনাগ্রস্ত হয়ে পড়লে তার কাছে সবাই পাওনা আদায়ে ছুটে আসে। হয়তো তিনি এ কথাটি এখানে বলার চেষ্টা করেছেন।
নদীমাতৃক এই দেশে বিভিন্ন সময় নদী ভাঙনের কবলে পড়তে হয় কিংবা পাহাড়ি ঢলে সমতলের সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তখন মানুষকে উঁচু স্থান বা পাহাড়ের দিকে ছুটতে হয়। দারিদ্র্যতা সত্ত্বেও অতিথিদের আনাগোনা ছিলো ব্যাপক। অথবা আত্মীয়স্বজন যেখানে বসবাস করুক না কেন দরিদ্র হোক তবুও অতিথিরা তার খেঁাজে আসে। তাহলে এখানে সামাজিক বন্ধনের কথা বলা হয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়। অন্যপদে বলা হয়েছে-
শশুরা নীদ গেল বহুড়ী জাগই
কানেট চোরে নিল কাগই মাগই।
এ পদে কবি তৎকালীন সময়ে চোরের আনাগোনার কথা বলেছেন। তৎকালীন সময়ে চোরের উপদ্রব ছিলো খুব বেশি। সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়তো তখন সিদ কেটে চোরেরা চুরি করতো। তদ্রুপ একটি পরিবারের সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়েছে তখন চোর ঢুকে বউয়ের স্বর্ণালংকার নিয়ে গেলো। পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়লেও ব্যথিব্যস্ত-চিন্তিত বউটি জেগে আছে। অথবা এখানে একাকীত্বে থাকা বউটির সম্ভ্রমহানির কথা বলা হয়েছে। হারানো অলঙ্কারগুলি এ অবস্থায় সে কোথায় খুঁজবে, কার কাছে যাবে এ চিন্তায় তার ঘুম আসছে না। অন্য পদে বলা হয়েছে যে বউটি দিনেরবেলায় পর্যন্ত ভয় পায় সে রাতেরবেলা অভিসারে যাওয়ার জন্য কায়মনে বসে থাকে ভয়কে উপেক্ষা করে। এখানে সমাজ বাস্তবতার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ বা সমাজের প্রতিচ্ছবি অলঙ্কৃত হয়েছে। আরেকটি পদে সামাজিক বন্ধন বিবাহের কথা চিত্রিত হয়েছে। কবি যেমনটি বলেছেন-
জঅ জঅ দুন্দুহি সাদ উছলিআ
কাহ্ন ডোম্বী বিবাহে চলিআ
ডোম্বী বিবাহিআ আহরিউ জাম
জউতুকে কিঅ অণুত্তর ধাম।
উপযুর্ক্ত পদে ঢোল-তবলা বাজিয়ে আনন্দ উৎসবে বিবাহের জন্য বরযাত্রার কথা উপস্থাপিত হয়েছে। এখানে বিবাহের সময় প্রাচীন রীতি পণপ্রথার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য আরেকটি পদে বেশ কিছু নীতিকথার মাধ্যমে সামাজিক রীতিনীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। কপট সাধুদের চিত্রও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যেমন-
বলদ বিআএল গবিআ বাঝে / পীঢ়া দুহি অই এ তীনি সাঝে। / জো সো বুধী সোহি নিবুদী / জো সো চোর সোহি সাদী।
এখানে যুগের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাহীনরা ক্ষমতাশালী হয়ে উঠা এবং যারা নিজেকে সাধুবেশে পরিচয় দেয় তাদের অন্তরালে রয়েছে কালো অধ্যায়ের বিভিন্ন কাহিনী। অর্থাৎ সাধুবেশে চুরি করার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এ চরণগুলি বর্তমান প্রেক্ষাপটের সাথে যথাযথভাবে মিলে যাচ্ছে। হাজার বছর আগের কথাগুলি যেন বর্তমান সময়ের সাথে মিলে যাচ্ছে। এছাড়া চর্যাপদে নদী-নালা, খাল-বিল, নৌকা, বর্ষার কথা বর্ণিত হয়েছে। কিছু কিছু প্রবাদবাক্যও বর্ণিত হয়েছে। যেমন- ‘আপনা মাংসে হরিণা বৈরী’।
যার কাছে স্বার্থ রয়েছে তার কাছে সবাই ছুটে আসে। এ কথাটি এখানে অনিন্দ্য সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। হরিণ নিজের কারণে নিজেরই শত্রুতে পরিণত হয়েছে। কেননা হরিণের মাংস সুস্বাদু হওয়ায় সবাই হরিণের মাংসের স্বাদ পেতে চায়। তাই সবাই হরিণের পিছনে ছুটে। ফলত হরিণ মাংসের কারণেই সবার কাছে অতি আকাঙ্ক্ষিত হলেও নিজের কাছে শত্রু। স্বার্থসংশ্লিষ্ট কারণে সবাই কাছে আসে আবার স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে আপনজনও পর হয়ে যায়- এ কথার বাস্তব চিত্র চিত্রিত হয়েছে।
চর্যাপদের কবিরা ছিলেন বৌদ্ধধর্মাবলম্বী পণ্ডিত। তারা তাদের ধর্মচর্চার জন্য এ সাধনসঙ্গীতগুলো রচনা করলেও এর আড়ালে রয়েছে সমাজ বাস্তবতার অনিন্দ্যসুন্দর প্রতিচ্ছবি। সমাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে চর্যাপদের কবিদের দ্বারা। আকারে ছোট হলেও পদগুলির ভাবগাম্ভীর্য অসাধারণ। পদগুলিতে যেমন রয়েছে ধর্মতত্ত্বের কথা, ধর্মের বিভিন্ন দিক ও আচার আচরণ, তেমনি বর্ণিত হয়েছে সমাজ বাস্তবতার বিচিত্রতা। চর্যা মানে আচার আচরণ অর্থাৎ বৌদ্ধধর্মের আচার-আচরণ রীতিনীতি এখানে যেমন বর্ণিত হয়েছে, তেমনি রূপকের আড়ালে বর্ণিত হয়েছে সমাজের বিভিন্ন দিক। নিষ্পেষিত জনগণের কথা, অভাব-অনটনের কথা, চুরি-ডাকাতির কথা, দ্বন্দ্বের কথা চর্যাপদের কবিরা তুলে ধরেছেন। ধর্মীয় সাধনসঙ্গীত হিসেবে রচনা করলেও এই পদগুলি ধর্মের গণ্ডি পেরিয়ে সমাজ বাস্তবতার তৎকালীন ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারকবাহক হয়ে আছে। চর্যাপদে পাওয়া যায় প্রাচীন বাংলার সমাজচিত্র ও সমাজ বাস্তবতার কাহিনি। এজন্য চর্যাপদ শুধু ধর্মীয় সাধনসঙ্গীত হিসেবে সীমাবদ্ধ না থেকে হয়ে উঠেছে তৎকালীন সমাজের প্রতিবিম্ব বা আয়নাস্বরূপ।
চর্যাপদের ভাষা আলো-আঁধারি হলেও তার ওপর ভর করে অপভ্রংশের মধ্য দিয়ে বাংলাভাষা আজকের এ পর্যন্ত আসতে পেরেছে। ভাষাবিজ্ঞানীদের মতে ভাষা পরিবর্তিত হয়ে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আধুনিক ভাষায় রূপান্তরিত হয়েছে। আসলে চর্যাপদ ধর্মের সাধনসঙ্গীত হলেও ধর্মতত্ত্বের রূপকে পাওয়া যায় সমাজ বাস্তবতার অনন্য দলিল। চর্যাপদে মাত্রাবৃত্ত, অক্ষরবৃত্ত ও স্বরবৃত্ত ছন্দ পরিলক্ষিত হয়। চর্যাপদের ভাষাগত মান যেমন অস্বীকার করার উপায় নেই, তদ্রƒপ সমাজ বাস্তবতার দলিল হিসেবে চর্যাপদকে নির্দ্বিধায় উপস্থাপন করা যায়।


আরো সংবাদ



premium cement
সংস্কার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা কে হবে মিয়ানমারের আগামীর নীতিনির্ধারক ফ্যাসিবাদীরা বিদেশে অর্থ পাচার করে অর্থনীতি ধ্বংস করেছে : সেলিমা রহমান নোবিপ্রবির সাথে চীনের শিহেজী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর মতিউরের স্ত্রী কানিজ কারাগারে, রিমান্ড শুনানি ১৯ জানুয়ারি মহেশখালীতে প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বে যুবক খুন নাটোরে অগ্নিসংযোগের মামলায় দুলুসহ ৯৪ খালাস ক্রিড়া মন্ত্রণালয় ফ্যাসিবাদমুক্ত হওয়া উচিৎ : নূরুল ইসলাম বুলবুল ব্রাজিলের বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন চট্টগ্রাম বিএনপি নেতা শামীমকে শোকজ, সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দিলে শাস্তি কক্সবাজারে সাবেক কাউন্সিলর টিপু হত্যা: প্রতিশোধ ও আধিপত্য বিস্তারের গল্প উন্মোচন

সকল