১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`
ব ই আ লো চ না

উপন্যাস ‘ইভানার চিঠি’

-

বাংলা উপন্যাস সাহিত্যের একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে নারীকেন্দ্রিক উপন্যাস। একজন নারী সমাজের সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে নিজেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে ‘ইভানার চিঠি’ উপন্যাসটি তারই প্রতিচ্ছবি।
যুগ যুগ ধরে বাঙালি সমাজব্যবস্থায় অনেক ক্ষেত্রে নারীরা অবহেলিত। অনেক সময় নারীদের কেবল ভোগ্যবস্তু এবং সন্তান উৎপাদনের মাধ্যম বলে ধরে নেয়া হয়।
একজন নারীকে নারী থেকে ‘মানুষ’ হয়ে ওঠার পেছনে অসংখ্য গল্প থাকে। পাশাপাশি নানা প্রতিবন্ধকতা নারীকে পিছু টানে। রহমান মল্লিকের ‘ইভানার চিঠি’ উপন্যাসটি নারীকেন্দ্রিক উপন্যাস। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র ইভানা। ইভানার মা রোকেয়া বনেদি পরিবারের মেয়ে। রোকেয়ার বিয়ে হয় বিল্লাল হোসেন নামক পোস্ট অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সঙ্গে। বিল্লাল হোসেন প্রথম থেকেই রোকেয়াকে দেখতে পারতেন না। রোকেয়া ভেবেছিলেন সন্তান হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু বিধি বাম। রোকেয়ার কন্যাসন্তান হলে বিল্লাল হোসেন অসন্তুষ্ট হন এবং মেয়ে ইভানাকে মোটেও সহ্য করতে পারেননি।
রোকেয়া, ইভানারা যুগের পর যুগ অবহেলিত হয়ে আসছে। উপন্যাসে ইভানার বয়স তখন দেড় বছর। ইভানাকে একদিন হঠাৎ করেই বাবার কোলে তুলে দিলেন মা রোকেয়া বেগম। শিশুটির প্রতি এতদিনেও তার কোনো মায়া তৈরি হয়নি। মুহূর্তেই মাত্র দেড় বছরের শিশুটিকে উঠানে ছুড়ে ফেলে দিলেন বিল্লাল হোসেন। সে এক অভাবনীয় দৃশ্য।
দেড় বছরের মেয়ে ইভানা যেমন তার বাবার কাছে অবহেলিত, পরিণত ইভানা তার স্বামীর কাছেও অবহেলিত। এভাবে ইভানারা পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র দ্বারা অবহেলিত হতে থাকে। ইভানার শৈশব কাটে পিতৃ আদরহীনভাবে। পাশের বাড়ি কাকা ইভানাকে স্নেহ করতেন। একদিন ইভানার কাকা তার জন্য রঙিন বই কিনে নিয়ে আসেন। ইভানা তার মায়ের কাছে লেখাপড়ার প্রথম পাঠ নেয়। কাকার উৎসাহ ও প্রেরণায় সে স্কুলে ভর্তি হয় এবং স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সব বেলাতেই সে অত্যন্ত ভালো ফলাফল করে।
ইভানার মেধা ও অধ্যবসায়ের ফলে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। ইভানা তার পরিবারের ইচ্ছে অনুযায়ী বিয়ে করে হাসান তারেক নামক একজন ডাক্তারকে। বিয়ের প্রথম দিকে তাদের দাম্পত্য জীবন ভালো কাটলেও শেষে তাদের বিচ্ছেদ হয়। কেননা ইভানার স্বামী মাদকাসক্ত। সে ইভানাকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। ইভানা তাকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হয়। আপাতত উপন্যাসের কাহিনী অতোখানিই।
ছোট পরিসরে অঁাটসাঁট গড়নের সজ্জিত ইভানার চিঠি উপন্যাসে রহমান মল্লিক স্বীয় অনুভূতির পরিস্ফুটন ঘটিয়েছেন! গুটিকয়েক চরিত্র আর গ্রাম্য দু’জন কিশোর-কিশোরীর কৈশোরসুলভ আবেগ অনুভূতির দারুণ এক প্রকাশ ইভানার চিঠি।


আরো সংবাদ



premium cement
চকরিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩ ডাকাত আটক মির্জাপুরে ৭ দফা দাবি আদায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের লিফলেট বিতরণ ম্যাচ বয়কটের হুমকি ক্রিকেটারদের, জরুরি বৈঠকে বিসিবি ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করল ইরান সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপী কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু হচ্ছে শনিবার যুদ্ধবিরতির তুমুল আলোচনার মধ্যেই ৬২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা ‘পাইকগাছা কৃষি কলেজ এখন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস’ নির্বাচনের আগেই গণহত্যার বিচার : আসিফ নজরুল চকরিয়ায় ডাম্পারচাপায় শ্রমিক নিহত এনসিটিবি ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে হামলা সংস্কার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

সকল