১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`
বিশ্বসাহিত্যের টুকিটাকি

ওরহান পামুকের নতুন বই সাড়া ফেলেছে

-

তুরস্কের নোবেল বিজয়ী লেখক ওরহান পামুকের লেখা নতুন বই ‘মেমোরিজ অব ডিসটেন্ট মাউন্টেনস’ প্রকাশের পরপরই বেশ সাড়া ফেলেছে। গত নভেম্বরে তার স্মৃতিকথামূলক এই বইটি প্রকাশিত হয়। সমালোচকরা এটাকে জার্নাল অব আ প্রাইভেট ড্রিমওয়ার্ল্ড বলে বর্ণনা করেছেন। তারা বলেন, তুর্কি নোবেল বিজয়ীর চিত্রিত নোটবুকগুলো তার সৃজনশীল প্রক্রিয়া সম্পর্কে একটি প্রাণবন্ত অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। উল্লেখ্য, বইটিতে ওরহানের নোটবুকের নানা আঁকিবুকি তুলে ধরা হয়েছে। ২২ বছর বয়সে ওরহান পামুক লেখক হওয়ার জন্য স্থাপত্য স্কুল ছেড়ে দেন। তার মা মধ্যরাতে তার দরজা খুলে তাকে খেঁাজাখুঁজি করতেন এবং তাকে ধূমপান করতে এবং কাজ করতে দেখতেন। তিনি জানতে চাইতেন তুমি কি লিখছো? বলতেন ‘এত ধূমপান করো না।’ তার আাগের বই প্রবন্ধ সংকলন "আদার কালারস"-এ প্রকাশিত এই উপাখ্যানটি তাকে একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী যুবক হিসেবে দেখায়। মেমোরিজ বইতে ২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে তিনি যে চিত্রিত নোটবুকগুলো সংরক্ষণ করেছিলেন তার একটি সংগ্রহ প্রকাশ হয়েছে। এতে তাকে একজন পরিণত লেখক হিসেবে পাই। লেখালেখি ও চিত্রকলা উভয়ের প্রতিই তার এক সরল এবং আবেগপ্রবণ অনুভূতি কী ছিল তার বর্ণনা পাওয়া যায়। তার ডায়েরিগুলো তুরস্কের ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারী রাজনৈতিক পরিবেশের প্রতি হতাশাও প্রতিফলিত করে। উন্নয়নশীল বিশ্বে এডওয়ার্ড সাইদকে কিভাবে দেখা হয় সে সম্পর্কে আলোচনায়, পামুক লিখেছেন যে ‘পশ্চিমে বসবাসকারী তৃতীয় বিশ্বের লেখকদের সমালোচনা করা উচিত, তাদের নিজস্ব দেশ, তাদের জনগণ, তাদের দৈনন্দিন সংস্কৃতির সমালোচনা করতে সক্ষম হওয়া উচিত’। ২০০৫ সালে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘এই দেশে দশ লাখ আর্মেনীয় এবং ৩০ হাজার কুর্দি নিহত হয়েছে এবং আমিই একমাত্র ব্যক্তি যে এটি সম্পর্কে কথা বলার সাহস করি’। তার প্রতিক্রিয়ার কারণে বছরের পর বছর ধরে তার একজন দেহরক্ষী রাখার প্রয়োজন দেখা দেয়। ফরিদ ওরহান পামুক, ওরহান পামুক নামে বেশি পরিচিত। জন্ম ৭ জুন ১৯৫২। ২০০৬ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। বিশ্বের ৬০টিরও বেশি ভাষায় তার ১ কোটি ১০ লাখের বেশি বই বিক্রি হয়েছে। যার ফলশ্রম্নতিতে তিনি পরিণত হয়েছেন তুরস্কের সবচেয়ে প্রচারিত কথাসাহিত্যকে। ইস্তাম্বুল এ জন্ম নেয়া পামুক দ্য হোয়াইট ক্যাসল, দ্য ব্ল্যাক বুক, দ্য নিউ লাইফ, মাই নেম ইজ রেড, স্নো ও দ্য মিউজিয়াম অব ইনোসেন্স এর রচয়িতা। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ছাড়াও (নোবেল প্রাপ্ত প্রথম তুর্কি) পামুক অজস্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। মাই নেম ইজ রেড ২০০২ সালে অর্জন করে প্রিঁ দু মেইলিউর লিভরে, প্রিমিও গ্রিনজানে শ্যাভুর এবং ২০২৩ সালে পান ইন্টারন্যাশনাল ইমপ্যাক ডাবলিন লিটারেরি এওয়ার্ড ।


আরো সংবাদ



premium cement
ছোটবেলার বন্ধুদের কবিতা আবৃত্তি করে শোনালেন মির্জা ফখরুল মাসিক ৩০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবে ঢাবি ছাত্রীরা সোনারগাঁও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীতে মিলল নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ টিউলিপের পদ্যতাগ : এবার তোপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নবাবগঞ্জে অপহরণের তিন ঘণ্টা পর স্কুলছাত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করতে জাপানের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান চকরিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩ ডাকাত আটক মির্জাপুরে ৭ দফা দাবি আদায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের লিফলেট বিতরণ ম্যাচ বয়কটের হুমকি ক্রিকেটারদের, জরুরি বৈঠকে বিসিবি ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করল ইরান

সকল