হেমন্ত
- ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০৫
হিম হিম অনুভবে পাল তোলে সপ্তপর্ণী ছাতিমের ফুল,
বসন্ত আসেনি তবু মনের বসন্তে ভাসে শীতের মুকুল।
কার্তিকের চাপ সয়ে প্রগাঢ় প্রস্তুতি নেয় সমূহ জীবন,
উদাস দুপুরে এক ধূসর ঘুঘুর ডাকে মুখরিত বন।
কিশোরী গাঁয়ের বধূ নরম মাটির মধু মমতা বিছায়ে-
প্রেমের বুনন করে, দুধেল শিশুর ন্যায় টুকরির গায়ে।
মেঠোপথ থেকে দূরে নিমগ্ন ষাঁড়ের শিঙে মাতব্বর ফিঙে,
সেবক, জননী হয়- নিরাময় কেন্দ্র গড়ে পাতানো রেলিঙে।
রোদের কাগজে আঁকা স্বপ্নের সোনালি তাজে ভরপুর হাসি,
কুয়াশার ভাঁজ ভেঙে স্রোত বুকে হেঁটে যায় অনন্তের চাষি।
ক্ষুধার্ত ক্ষুরের চাপে, মৃত্যু গন্ধমাখা ঘাসে বিপ্লবের গান,
উদোম আকাশ হাসে দুর থেকে ঢের পেয়ে নবান্নের ঘ্রাণ।
সোনারঙ রোদ শেষে- জোছনা ডুবানো রাতে জোনাকির ভিড়,
লিকলিকে লাউ ডগা সে-রাতে সেলাই করে মাচানের তির।
জলজ সন্ধ্যার ছোঁয়া মনকে মোহিত করে মোহিনী আঁচড়ে,
পরিযায়ী গান থামে আবার মুখর হয় আজানের তরে।
ভোরের বেদনা বুকে শেফালিও ছুঁয়ে যায়- ঘাসের গুচ্ছকে,
হেমন্ত লুকিয়ে রাখো, কী এমন প্রেম তুমি পৃথিবীর ত্বকে?
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা