এ বছর নোবেলজয়ী লেখিকা হ্যান ক্যাঙ এর কবিতা
- তরজমা : এ কে আজাদ
- ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৫
আরশির ভেতর দিয়ে দেখা এক শীতকাল
(উইন্টার থ্রু অ্যা মিরোর)
ক.
আয়নার ভেতরে শীত অপেক্ষা করছে।
একটা ঠাণ্ডা জায়গা, ভয়ানক ঠাণ্ডা জায়গা এটি।
উহ্! কী ভীষণ ঠাণ্ডা!
জমে যাওয়া বস্তুগুলো যেন কাঁপতেও ভুলে গেছে সব।
আর তোমার হিমায়িত মুখটাও যেন
টুটাতে পারে না বরফের দেয়াল।
আমিও হাত বাড়াই না, আর তুমিও না।
একটা শীতল জায়গা,
এমন একটি জায়গা যেখানে ঠাণ্ডাই থাকে চিরকাল।
ভীষণ এই শীতলতা!
চোখের তারাগুলো নড়তে পারে না,
চোখের দুটি পাতা জানে না -
কিভাবে একে অপরের কাছে আসবে তারা।
শীতলতা অপেক্ষা করে আরশির ভেতরে-
(হৃদয়ের) আরও গভীরে,
অথচ আমি তো এড়িয়ে যেতে পারি না
তোমার অপলক চোখ,
আর তুমিও পারো না বাড়িয়ে দিতে তোমার হাত।
খ.
আমার এ চোখ দুটি যেন মোমবাতির শলা,
পুড়ে পুড়ে গলে যায় ফোঁটা ফোঁটা
গ্রাস করে (হৃদয়ের) পলিতাকে;
অথচ ছেঁকা লাগে না, লাগে না কোন ব্যথা,
কেননা তারা বলে যে- নীলাভ শিখার স্ফুরিত
মর্মমূল থেকেই আত্মার আগমন ঘটে।
আত্মা আমার চোখের উপরে বসে থাকে,
স্ফুরিত হয়, জ্বলতে থাকে,
তারা গুনগুন করে গান গায়,
দূরে ছড়িয়ে পড়া বাইরের শিখা
আবার ছড়িয়ে পড়ে।
দূরের শহরে চলে যাবার জন্য
আগামীকাল তুমি যাবে (আমাকে) ছেড়ে,
আর আমি (একাই) জ্বলবো এখানে;
শূন্যতার সমাধিতে হাত রাখবে তুমি,
আর অপেক্ষা করবে ফের ফিরে আসার জন্য।
স্মৃতিরা তোমার হাতের আঙুলে
কামড়ে দেবে (বিষধর) সাপের মতন।
(আমার চোখে জ্বলা মোমের আগুনে)
তবু তুমি দগ্ধ হবে না, ব্যথাতুর হবে না বেদনায়,
(সে) আগুনে জ্বলবে না তোমার অবিচলিত মুখ,
(অথবা) হবে না বিচূর্ণ তোমার আয়না-মুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা