৪০তম বিসিএস পরীক্ষা : ১৯০৩টি পদে নিয়োগ
- ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের শূন্য পদগুলো বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে
পূরণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে ৪০তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র আহ্বান করেছে।
৪০তম বিসিএসে এক হাজার ৯০৩টি শূন্য পদের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। আবেদনপত্র জমা দেয়ার
শেষ তারিখ ও সময় : ১৫ নভেম্বর ২০১৮, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। লিখেছেন মাহমুদ কবীর
আবেদনের যোগ্যতা : প্রার্থীদের যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছরের সম্মান ডিগ্রি বা সমমান ডিগ্রি থাকতে হবে।
কোন পদে কতজন : ৪০তম বিসিএসে মোট ১৯০৩টি পদের মধ্যে সাধারণ ক্যাডারে মোট ৪৬৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২০০ জন ছাড়াও পুলিশ ক্যাডারে ৭২ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন, সমবায় ক্যাডারে ১৭ জন, ডাকে ৬ জন, আনসার ক্যাডারে ১২ জন, নিরীা ও হিসাব ক্যাডারে ২২ জন, ইকোনমিক ক্যাডারে ৪৫ জন, তথ্য ক্যাডারে ৬ জন, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক ক্যাডারে ১ জন, শুল্ক ও আবগারি ক্যাডারে ৩২ জন, খাদ্য ক্যাডারে ৩ জন ও কর ক্যাডারে ২৪ জন নিয়োগ করা হবে। প্রফেশনাল/ টেকনিক্যাল ক্যাডারের মধ্যে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের সহকারী সার্জন হিসেবে ২৬০ জন, বিসিএস (খাদ্য) ক্যাডারে ৫ জন, মৎস্য ক্যাডারে ২৬ জন, কৃষি ক্যাডারে ১৪৩ জন, বিসিএস পশুসম্পদ ক্যাডারে ৮০ জন, বিসিএস গণপূর্ত ক্যাডারে ৬ জন, বিসিএস রেলওয়ে প্রকৌশল ক্যাডারে ৫ জন, বিসিএস সড়ক ও জনপথ ক্যাডারে ১৮ জন, বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে ১২ জন, বিসিএস সমবায় ক্যাডারে ১ জন, বিসিএস পরিসংখ্যান ক্যাডারে ১২ জন মোট ৫৬৮ জন নিয়োগ দেয়া হবে। বিসিএস সাধারণ শিা ক্যাডারের মধ্যে প্রভাষক হিসেবে বাংলায় ৬৭ জন, ইংরেজিতে ৩০ জন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৪২ জন, হিসাববিজ্ঞানে ৫৮ জন, ব্যবস্থাপনায় ৪৩ জন, অর্থনীতিতে ৪২ জন, দর্শনে ৭৪ জন, ইতিহাসে ১৮ জন, সমাজবিজ্ঞানে ১৩ জন, গণিতে ৯৬ জন, ভূগোলে ১৬ জন, মৃত্তিকা বিজ্ঞানে ২ জন, সংস্কৃততে ১ জন, গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে ৪ জন, উদ্ভিদবিদ্যায় ৪২ জন, আরবি ও ইসলামি শিক্ষায় ১০ জন, আরবিতে ২ জন, আল হাদিসে ১ জন, নার্সারি স্কুল ও সামাজিক সম্পর্কে ১ জন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে ৯২ জন, পদার্থবিদ্যায় ২৪ জন, মনোবিজ্ঞানে ৬ জন, পরিসংখ্যানে ৭ জন, কৃষিবিজ্ঞানে ১২ জন, সমাজকল্যাণে ২১ জন, রসায়নে ৪৪ জন, ইসলামি শিক্ষায় ১০ জন, প্রাণিবিদ্যায় ৪২ জন, মার্কেটিংয়ে ১০ জন এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ে ৭ জনসহ মোট ৮৩৭ জন নিয়োগ দেয়া হবে। এ ছাড়া বিসিএস (সাধারণ শিা ক্যাডারে) সহকারী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজেসমূহে প্রভাষক হিসেবে বাংলায় ২ জন, ইংরেজিতে ৪ জন, গণিতে ২ জন, ইতিহাসে ৩ জন, ভূগোলে ৩ জন, গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ২ জন, শিক্ষায় ১ জন, বিজ্ঞানে ৫ জন, ইসলামিক আদর্শে ৫ জন, চারু ও কারুকলায় ১ জন, গাইডেন্স অ্যান্ড কাউন্সিলিংয়ে ২ জন, প্রফেশনাল ইথিক্সে ৩ জনসহ মোট ৩৩ জন নিয়োগ দেয়া হবে।
অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ ও সময় : অনলাইনে আগামী ১৫ নভেম্বর ২০১৮ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দেয়া যাবে।
বয়সসীমা : ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে প্রার্থীর বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা/ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা, প্রতিবন্ধী প্রার্থী এবং বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের েেত্র প্রার্থীর বয়স ২১ থেকে ৩২ বছর। বিসিএস (সাধারণ শিা) ক্যাডারের েেত্র শুধু ুদ্র নৃগোষ্ঠীর বেলায় বয়স ২১ থেকে ৩২ বছর।
জাতীয়তা : প্রার্থীদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা : প্রিলিমিনারি পরীা হচ্ছে বিসিএসের প্রথম ধাপ। মনে রাখবেন, বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়া কঠিন। কাজেই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিন। দুই ঘণ্টা সময়ে মোট ১০টি বিষয়ের ওপর ২০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীা হবে। পরীক্ষায় ২০০টি প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্যে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ৩৫ নম্বর, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে ৩৫ নম্বর, বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়বলিতে ২০, ভূগোল ( বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ১০ নম্বর, সাধারণ বিজ্ঞানে ১৫, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিতে ১৫, গাণিতিক যুক্তিতে ১৫, মানসিক দতায় ১৫ এবং নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন বিষয়ে ১০ নম্বরসহ মোট ২০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
প্রিলিমিনারি পরীার প্রস্তুতি : বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের েেত্র মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যবই গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যবই থেকে গাণিতিক যুক্তি, সাধারণ বিজ্ঞান, ভূগোলসহ অন্যান্য বিষয়ও পড়বেন। আর সাধারণ জ্ঞানের জন্য প্রতিদিন দৈনিক পত্রিকা পড়বেন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা। পরীক্ষায় ২০০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন ও প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে ০.৫০ নম্বর কাটা যাবে।
বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র পূরণ : ৪০তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্টে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত আবেদনপত্র (ইচঝঈ ঋড়ৎস-১) অনলাইনে পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
অনলাইনে ইচঝঈ ঋড়ৎস-১ পূরণ : প্রার্থীকে টেলিটকের ওয়েবসাইট যঃঃঢ়://নঢ়ংপ.ঃবষবঃধষশ. পড়স.নফ অথবা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইট িি.িনঢ়ংপ.মড়া.নফ এর মাধ্যমে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত আবেদনপত্র (ইচঝঈ ঋড়ৎস-১) পূরণ করে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ও ফি জমা দিতে হবে।
পরীক্ষার ফি জমা দেয়া : অনলাইনে আবেদনপত্র (ইচঝঈ ঋড়ৎস-১) যথাযথভাবে পূরণ করে নির্দেশনামতো ছবি ও প্রার্থীর স্বাক্ষর আপলোড করে প্রার্থী কর্তৃক আবেদনপত্র ংঁনসরঃ শেষ হলে কম্পিউটারে ছবিসহ অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ প্রিভিউ দেখা যাবে। নির্ভুলভাবে আবেদনপত্র ঝঁনসরঃ শেষ হলে প্রার্থী ঁংবৎ ওউ সহ ছবি এবং স্বাক্ষরযুক্ত একটি অঢ়ঢ়ষরপধহঃ’ং কপি পাবেন। অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ প্রিভিউ এবং অঢ়ঢ়ষরপধহঃ’ং কপিতে প্রার্থীর ছবি, স্বাক্ষর অবশ্যই দৃশ্যমান হতে হবে। ওই অঢ়ঢ়ষরপধহঃ’ং কপি প্রার্থীকে প্রিন্ট অথবা ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে হবে। অঢ়ঢ়ষরপধহঃ’ং কপিতে একটি ঁংবৎ ওউ নম্বর দেয়া থাকবে এবং এই ঁংবৎ ওউ নম্বর ব্যবহার করে টেলিটক বাংলাদেশ লি: কর্তৃক এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসারে প্রার্থীকে যেকোনো টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে এসএমএস করে ৪০তম বিসিএস পরীক্ষার ফি বাবদ ৭০০ টাকা এবং প্রতিবন্ধী, ুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীরা ১০০ টাকা জমা দেবেন এবং পরে প্রার্থীরা প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে পারবেন। শুধু ঁংবৎ ওউ প্রাপ্ত প্রার্থীরা অঢ়ঢ়ষরপধহঃং কপিতে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী, অর্থাৎ আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখের পরের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রার্থীদের ফি জমা দেয়া শেষ করতে হবে। অর্থাৎ ১৮ নভেম্বর ২০১৮ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ফি জমা দিতে হবে।
প্রবেশপত্র সংগ্রহ : পরীক্ষার নির্ধারিত ফি জমা দেয়া হলে টেলিটক মোবাইল থেকে প্রেরিত এসএমএস বার্তায় প্রাপ্ত উত্তরে প্রদত্ত একটি ঁংবৎ ওউ এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে প্রার্থী তার প্রার্থিত কেন্দ্রের রেজিস্ট্রেশন নম্বরের রেঞ্জ থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বরাদ্দকৃত রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংবলিত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে সংগ্রহ করতে পারবেন।
৪০তম (বিসিএস) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ : ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সঠিক তারিখ, সময় ও আসন ব্যবস্থা কমিশনের ওয়েবসাইট ও সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
লিখিত পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর বণ্টন এবং মৌখিক পরীক্ষার নম্বর : সাধারণ ক্যাডারের জন্য (মোট নম্বরÑ১১০০) : বাংলায় ২০০ নম্বর, ইংরেজিতে ২০০, বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ২০০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০, গাণিতিক যুক্তি মানসিক দক্ষতায় ১০০ নম্বর (তবে মানসিক দক্ষতার পরীক্ষায় এমসিকিউ টাইপের ৫০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রার্থী প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন, তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে ০.৫০ নম্বর কাটা যাবে), সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ১০০ নম্বর ও মৌখিক পরীক্ষায় ২০০ নম্বরসহ মোট ১১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
প্রফেশনাল/ টেকনিক্যাল ক্যাডারের জন্য : (মোট নম্বরÑ১১০০) : বাংলায় ১০০ নম্বর, ইংরেজিতে ২০০, বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ২০০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ১০০, গাণিতিক যুক্তি মানসিক দক্ষতায় ১০০ নম্বর (তবে মানসিক দক্ষতার পরীক্ষায় এমসিকিউ টাইপের ৫০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রার্থী প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন, তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে ০.৫০ নম্বর কাটা যাবে), সংশ্লিষ্ট পদ বা সার্ভিসের জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে ২০০ নম্বর ও মৌখিক পরীক্ষায় ২০০ নম্বরসহ মোট ১১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
জেনে রাখুন : যেসব প্রার্থী সাধারণ ও প্রফেশনাল/ টেকনিক্যাল উভয় ক্যাডারের পদের জন্য পছন্দক্রম দিতে ইচ্ছুক তাদের সাধারণ ক্যাডারে ৯০০ নম্বরের অতিরিক্ত উপরে উল্লিখিত ‘সংশ্লিষ্ট পদ বা সার্ভিসের জন্য প্রাসঙ্গিক’ একক বিষয়ে ২০০ নম্বরের ৪ ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।
লিখিত পরীক্ষার মানবণ্টন, সময় ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর : ২০০ নম্বরের প্রতিটি বিষয়ের লিখিত পরীক্ষার সময় ৪ ঘণ্টা ও ১০০ নম্বরের প্রতিটি বিষয়ের লিখিত পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা। প্রার্থীদের জন্য সব বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা আবশ্যক। লিখিত পরীক্ষায় গড় ন্যূনতম পাস নম্বর ৫০%। মৌখিক পরীক্ষার পূর্ণ নম্বর ২০০। মৌখিক পরীক্ষায় পাস নম্বর ৫০%। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীদের আলাদা আলাদাভাবে পাস করতে হবে।
বিস্তারিত জানতে : প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস ও বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইট িি.িনঢ়ংপ.মড়া.নফ দেখুন।