রাসূল সা:-এর রাষ্ট্র সংস্কার
- ইলিয়াজ হোসেন রানা
- ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
হজরত মুহাম্মদ সা: কেবল একজন নবী বা রাসূল ছিলেন না, তিনি ছিলেন আজ পর্যন্ত মানব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজ সংস্কারক। তাঁর সংস্কারবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, নেতৃত্ব ও নির্দেশনা অন্ধকারাচ্ছন্ন ও কুসংস্কারে নিমজ্জিত আরব জাতিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতিতে পরিণত হতে সাহায্য করেছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন, আইনের শাসন, সুবিচার নিশ্চিতকরণ এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও লালন যেকোনো সভ্যতার ভিত্তি। এর সাথে সৃষ্টিকর্তার নির্দেশাবলি ও এর প্রতি জবাবদিহিতার তীব্র অনুভূতি। এর অভাবেই আমরা আজ বিশ্বব্যাপী সামাজিক অনাচার, অত্যাচার ও অবিচারের ঘনঘটা লক্ষ করছি। সমাজে ধর্মীয় স্বাধীনতা, শিক্ষার গুরুত্ব ও অধিকার এবং এর ব্যবস্থাপনা, বর্ণবৈষম্যের অবসান, নারী অধিকার ও নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, শ্রমিকের অধিকার, যুদ্ধ নীতিমালা, সামাজিক সুবিচার ও বছরের পর বছর ধরে বিদ্যমান শত্রুতার অবসানের মাধ্যমে যে সভ্য সৃষ্টিমুখী এবং আলোকিত সমাজের গোড়াপত্তন রাসূল সা: করেছিলেন, তা তাঁকে মানব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র সংস্কারক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। মানব ইতিহাসের শুরু থেকে ষষ্ঠ শতকের শেষভাগ পর্যন্ত সময়কালে মানবাধিকার আদায়ের সংগ্রামের কোনো ধারাবাহিক ইতিহাস জানা যায় না। তবে ইতোপূর্বে সুমেরীয় রাজা ডুঙ্গি ‘ডুঙ্গি কোড’ ১৭৫৪ খ্রিষ্টপূর্বে বেবিলনীয় রাজা হাম্বুরাবি ‘কোড অব হাম্বুরাবি বা হাম্বুরাবি আইন সংহিতা’ও ৪৫০ খ্রিষ্টপূর্বে রোমানরা ‘টুয়েলভ ট্যাবলস বা দ্বাদশ সারণি’ নামে সংবিধান প্রণয়ন করেন। যুগের চাহিদা অনুযায়ী এসব আইন বা সংবিধান অভিনব হলেও আধুনিক রাষ্ট্রীয় সংবিধানের ন্যায় তা রাষ্ট্র পরিচালনা ও নাগরিকদের সব ধরনের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম ছিল না। কিন্তু সপ্তম শতকে হজরত মুহাম্মদ সা: বিশ্ববাসীর সামনে নতুন আশা, নতুন আকাক্সক্ষার বাণী নিয়ে হাজির হন। ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা: মদিনায় বসবাসরত মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন ও মদিনায় বিবদমান সব জাতির মধ্যকার বিরোধ মীমাংসা করে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন করার প্রয়াসে একটি সনদ প্রণয়ন করেন যা ‘মদিনা সনদ’ নামে পরিচিত; এটাই পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান।
এই সনদে বলা হয়েছে : সনদে স্বাক্ষরকারী মুসলমান, ইহুদি, খ্রিষ্টান পৌত্তলিকসহ সব সম্প্রদায় একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে এবং সব সম্প্রদায় সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবে। হজরত মুহাম্মদ সা: নবগঠিত মদিনা প্রজাতন্ত্রের সভাপতি হবেন এবং পদাধিকার বলে তিনি মদিনার সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বময় কর্তা হবেন। সব নাগরিক পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে। কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। কেউ আক্রান্ত হলে সন্ধিতে স্বাক্ষরকারী সব সম্প্রদায় প্রতিহত করবে। কোনো সম্প্রদায় মদিনা প্রজাতন্ত্রের স্বার্থের পরিপন্থী কোনো কাজে লিপ্ত হতে পারবে না। কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে; এ ক্ষেত্রে সম্প্রদায়কে দায়ী করা যাবে না। তা ছাড়াও যুদ্ধনীতি, নাগরিকদের ক্ষতিপূরণ, নিজ নিজ ব্যয় নির্বাহ, বন্ধুর দুষ্কর্ম, যুদ্ধের ব্যয় নির্বাহ, আশ্রয়দানকারী ও আশ্রিতের সম্পর্ক, নারীর আশ্রয়, কুরাইশদের ব্যাপারে ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয় সন্নিবেশিত হয়। আজকের জাতিসঙ্ঘ সনদের উৎস মদিনা সনদের মধ্যেই খুঁজে পান অনেক ঐতিহাসিক। গণমানুষের অভিমত ও সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাসূল সা: ‘মজলিসে শূরা’ গঠন করেন। মজলিস শূরা গঠন করার সময় ওই সব লোককে শূরা সদস্য করা হতো যারা খোদাভীরু, পদলোভহীন, বিচক্ষণ, আমানতদার, প্রত্যুৎপন্নমতি, প্রজ্ঞাবান, কর্মঠ ও সুবিচারক। মানুষের ওপর যে মতবাদ প্রতিষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে মানুষকে ওয়াকিফহাল করার জন্য আল্লাহ তায়ালা রাসূলকে তাঁর দিকে আহ্বান করার পদ্ধতি নির্দেশ করেছেন, ‘ডাকো তোমার রবের দিকে হিকমতের (কৌশলের) সাথে। তাই রাসূল সা: তানজিম ও দাওয়াতকে তাঁর জীবনের মিশন হিসেবে গ্রহণ করলেন। তিনি মক্কায় গোপনে, কৌশলে দাওয়াত দিলেন। মদিনা হিজরতের পর প্রকাশ্যে দাওয়াত দিলেন।
বিভিন্ন দেশের শাসকদের বিশেষ করে হাবশার বাদশাহ নাজ্জাশী, মিসরের শাসক মুকাওকিস, বাহরাইনের শাসক মুনজির এবং পারস্য সম্রাট খসরু পারভেজ, সিরিয়ার শাসক হারিস বিন শুমর, ইয়ামামার শাসক হাওজা বিন আলী, ওমানের শাসক জাফর বিন জুলুন্দী এবং বালকার গভর্নর ফারওয়াকে দূত মারফত ইসলাম গ্রহণ করার দাওয়াত দিলেন। প্রাক-ইসলামী আরবের সমাজজীবন ছিল ঘোর অমানিশার অন্ধকারে নিমজ্জিত, কলুষিত ও হতাশাজনক। মানবজাতির কাছে অর্থনৈতিক সমস্যাই বড় সমস্যা। এ সমস্যার কারণেই পৃথিবীর মানুষ যুগ যুগ ধরে অশান্তি ভোগ করে। রাষ্ট্রনায়ক ও মানবতার মহান নির্দেশক মহানবী সা: এ সমস্যাটির স্পষ্ট সুন্দর ও ভারসাম্যপূর্ণ সমাধান দিয়ে মানবতার কল্যাণ সাধন করেছেন। প্রিয় নবী সা: ছিলেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ। একজন যোগ্য অর্থনীতিবিদ হিসেবে সুন্দর ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনীতির রূপরেখা প্রণয়ন করে গেছেন। তিনি রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক ও প্রশাসনিক উন্নয়ন তথা ধনী-দরিদ্র বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে একটি উৎপাদনমুখী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কায়েম করে গেছেন যেমন, সম্পদের মালিক আল্লাহ, বিধিবদ্ধ ব্যক্তি মালিকানা, অপব্যয় নিষিদ্ধকরণ, সুদপ্রথার বিলোপসাধন : আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খেয়ো না। যাকাতভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা, শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বেকার সমস্যার সমাধান, সম্পদ বণ্টনের জীবিকার্জন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রেরণ, ভিক্ষাবৃত্তির উচ্ছেদ সাধন, ভারসাম্যসম্পূর্ণ ভাতা, মূল্য বৃদ্ধির আশায় প্রয়োজনীয় দ্রব্য আটকে না রাখা, ওজনে ফাঁকি না দেয়া, অন্যায়ভাবেই সম্পদ আত্মসাৎ না করা ইত্যাদি। প্রাক-ইসলামী যুগে আরবের রাজনৈতিক ইতিহাস অন্ধকারাচ্ছন্ন, অতীব নৈরাশ্যজনক, বিশৃঙ্খলাপূর্ণ। কেন্দ্রীয় কোনো সরকার বা শাসন না থাকায় যা হবার তাই হয়েছে।
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় রাসূলুল্লাহ সা: যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা ছিল যুগান্তকারী ও বৈপ্লবিক। সত্য ও ন্যায়ের এক স্বর্ণোজ্জ্বল প্রভাতের অভ্যুদয় ঘটিয়ে তিনি সভ্যতার আকাশকে করেছিলেন মেঘমুক্ত। জাতি, বর্ণ, নির্বিশেষে সমগ্র মানবতার কল্যাণ, সুখ, শান্তির গ্যারান্টি হিসেবে ইসলামী জীবন বিধানকে তিনি পরিপূর্ণতা দান করেন এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার স্থায়ী নীতি হিসেবে কুরআন ও হাদিসকে আঁকড়ে ধরার ঘোষণা দেন। রাসূল সা: যে নীতি-কৌশল-কার্যপদ্ধতির মাধ্যমে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, আজও সেই নীতি ও কৌশলের জন্য বিশ্ব ধুঁকে ধুঁকে মরছে। আজকের এই সঙ্ঘাতমুখর ও উত্তাল সমাজব্যবস্থায় রাসুল সা:-এর মানবাধিকার আদর্শই একমাত্র মুক্তির পথ।
মানবসভ্যতার ইতিহাসে নারীর অধিকার ও মর্যাদার জন্য রাসূল সা: প্রথম সোচ্চার হয়ে ওঠেন। রাসুল সা: এর প্রথম পদক্ষেপ ছিল কন্যা শিশু হত্যা বন্ধ করা। রাসূল সা: ঘোষণা করেন, দুনিয়ার সবচেয়ে বড় নেয়ামত হচ্ছে উত্তম স্ত্রী। বাবার চেয়ে মাকে তিন গুণ বেশি সম্মানিত করেছেন। নারীকে পিতার সম্পত্তিতে, স্বামী-সন্তান মায়ের সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী ধার্য করা, নারীকে মোহরানা দেয়া, স্বামী নির্বাচনের পূর্ণ অধিকার এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোথাও বিয়ে দেয়া নিষিদ্ধ করা, অকর্মণ্য- অত্যাচারী স্বামী থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের পূর্ণ অধিকার, বিধবা তালাকপ্রাপ্তা নারীকে দ্বিতীয় বিবাহের অধিকার দেয়া, দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনে নারী পুরুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য না করা, জ্ঞান অর্জন করার ব্যাপারে নারীকে পুরুষের মতোই সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। অত্যাচার-অপমান-শালীনতা-অবমাননা থেকে নারীকে রক্ষার জন্য পোশাক পরিধান ও জনসমক্ষে চলাফেরা করার সুনির্দিষ্ট বিধি-বিধান মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। মহাগ্রন্থ আল কুরআনের ঘোষণা : ‘হে মানবগণ, তোমাদের সেই পতিপালক প্রভুকে ভয় করে চলো যিনি একটি মাত্র ব্যক্তি-সত্তা হতে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। এই দু’জন হতে পুরুষ ও রমণীর বহু বিস্তার সম্ভব করেছেন। সেই আল্লাহর নামে তোমরা পারস্পারিক দাবি-দাওয়ার স্বীকৃতি চাও, সেই আল্লাহকে এবং তোমাদের মাতাকে ভক্তি শ্রদ্ধা করে চলিও। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। নারীরা ইসলাম দ্বারা অনেক সুরক্ষিত। নারীজাতি সম্পর্কে কুরআনের ঘোষণা অনেক বেশি সঠিক ও উদার।
আল্লাহর রাসূল সা: জুয়া খেলা, মদপান, নেশাগ্রহণ, কুসিদপ্রথা, জিনা-সমকামিতা ও অহেতুক রক্তপাত নিষিদ্ধ করে দেন। ফলে সমাজবিরোধী কার্যকলাপের ভয়াবহতা থেকে মানুষকে রক্ষা, সভ্যতার অভিশাপ থেকে মানুষকে মুক্তি দিয়ে ধর্ম নিয়ন্ত্রিত ও মানবতায় উজ্জীবিত নতুন সমাজের গোড়াপত্তন, বিশ্ব মানবতার প্রতি মহান রাসূল সা:-এর ইহসান। ধর্ষণ হলো সামাজিক ব্যাধি। মহান আল্লাহ বলেন, জেনাকারী পুরুষ ও মহিলা উভয়কে একশত করে বেত্রাঘাত করো। অপর দিকে চুরির বিধান হলো : চোর পুরুষ হোক বা মহিলা হোক উভয়ের হাত কেটে দাও। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তাদের মতো হয়ো না, যারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মদিনা সনদ ও অন্যান্য নির্দেশনার আলোকে রাসূলুল্লাহ সা: জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবার সংগঠন ও সভা-সমাবেশ করার অধিকার নিশ্চিত করেন। বিদায় হজের ভাষণে মুসলমানদের করণীয়, মানবসমাজের করণীয়, আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, তাঁর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি, মানবজাতির ঐক্য, আধ্যাত্মিক ভ্রাতৃত্ব, সামাজিক স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক সাম্য, সমাজ বিনির্মাণ, তাকওয়া, দায়িত্বশীল, পাপাচারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি, আল্লাহ ও মানব সম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব, সমাজে-রাষ্ট্রের অরাজকতা-বিদ্রোহ-কুপরামর্শ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক, সুদপ্রথা রহিতকরণ, নারীর পূর্ণ নিরাপত্তা-সম্মান-অধিকারকে নিশ্চিত করা, আত্মীয়তার বন্ধন প্রতিষ্ঠা, সামাজিক কুসংস্কার থেকে মুক্তি, উত্তরাধিকার আইনের গুরুত্বারোপ, খেয়ানতকারীর প্রতি হুঁশিয়ারি, মানুষের জীবন-সম্ভ্রমের নিরাপত্তা, সাম্য-স্বাধীনতা-ন্যায়পরায়ণতা-ভ্রাতৃত্ব-বদান্যতা ও মানবতার প্রতিষ্ঠা এবং এর জন্য ইসলামকে একমাত্র জীবনব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, তথা রাষ্ট্র পরিচালনার পূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
সমগ্র পৃথিবীর মানুষের জন্য আল্লাহ তাঁর রাসূলকে সব বিষয়েই আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করার হুকুম দিয়েছেন। রাসুল সা: একমাত্র আদর্শ নেতা। তিনি যেভাবে রাজনীতি করেছেন সেভাবেই মুসলমানদের রাজনীতি করা কর্তব্য। রাসূল সা: ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র কায়েম করে ১০ বছর ওই রাষ্ট্র শাসন করেছেন। তিনি ইসলামী সরকারের প্রধান ছিলেন। তিনি রাসূল হিসেবে যে নীতিতে শাসন করেছেন, সে নীতিতেই শাসন করাই মুসলিম জাতির জন্য ফরজ। মুসলিমদেরকে সব কাজই আল্লাহর হুকুম ও তাঁর রাসূল সা:-এর তরিকা অনুযায়ী করতে হবে। তাই মুসলিম শাসকদের রাসূলের নীতি অনুযায়ীই রাজনীতি করা কর্তব্য। আল্লাহ মুসলিম জাতিকে যে নীতিতে রাজনীতি করার নির্দেশ দিয়েছেন, তা তিনি মহাগ্রন্থ আল কুরআনে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেছেন, ‘হে ঐসব লোক, যারা ঈমান এনেছ! তোমরা আল্লাহকে মেনে চলো এবং রাসূলকে মেনে চলো। আর তোমাদের মধ্যে যাদের হুকুম দেয়ার অধিকার আছে, তাদেরও মেনে চলো। তারপর যদি তোমাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়, তাহলে আল্লাহ ও রাসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও। এটাই সঠিক কর্মনীতি এবং শেষ প্রতিফলের দিক দিয়েও এটাই ভালো।
ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রের সরকারকে নির্বাচিত হতে হবে। রাসূল সা: দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার আগে কাউকে তাঁর খলিফা নিযুক্ত করেননি। হজরত আবু বকর রা:, হজরত ওমর রা:, হজরত ওসমান রা:, হজরত আলী রা: নিজেরা চেষ্টা করে খলিফা হননি, জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী তারা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা