সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের বিরুদ্ধে মহানবী সা:
- ইকবাল হোসেন ইমন
- ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
মুহাম্মদ সা: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে সর্বব্যাপী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। সমাজে যেন সাম্প্রদায়িকতার উপর ভিত্তি করে কোনো বৈষম্যের স্থান না হয়, নিজ সম্প্রদায়কে শ্রেষ্ঠ ও শক্তিশালী জ্ঞাত করে অন্য সম্প্রদায়ের উপর অন্যায়, জুলুম সংঘটিত না হয় তার বিরুদ্ধে সতর্ক করে তিনি ঘোষণা করেন, ‘যে সাম্প্রদায়িকতার দিকে আহ্বান করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়, যে সাম্প্রদায়িকতার জন্য লড়াই করে, সেও আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (আবু দাউদ, হাদিস-৫১২১)
মুহাম্মদ সা: বিদায় হজের ভাষণে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন-‘হে মানব জাতি! আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হতে পারো, নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সেই সর্বাধিক সম্মানিত যে সর্বাধিক পরহেজগার।’ (সূরা হুজুরাত, আয়াত-১৩)
রাসূল সা: সাম্প্রদায়িক মানসিকতা লালনকারীকে আগুনের কূপে পতিত উটের সাথে উপমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজ সম্প্রদায়কে অন্যায়ের ওপর সহযোগিতা করে সে ওই উটের ন্যায়, যে আগুনের গর্তে পড়ে লেজ নাড়ায়।’ (আবু দাউদ, হাদিস-৫১১৭)
মানব মর্যাদার ক্ষেত্রে সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষকেও এক কাতারে স্থান দিয়েছেন মহানবী সা:। তিনি মানুষ হিসেবে মুসলমান, ইহুদি, খ্রিষ্টান কারো মধ্যে কোনো বৈষম্যের অবকাশ রাখেননি। যেমন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, হজরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রা: বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ব দিয়ে একটি জানাজা যাচ্ছিল। নবী করিম সা: তা দেখে দাঁড়িয়ে গেলেন। আমরাও দাঁড়িয়ে গেলাম এবং নিবেদন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! এ তো ইহুদির জানাজা। তিনি বললেন, তোমরা যেকোনো জানাজা দেখলে দাঁড়িয়ে যাবে।’ (সহিহ বুখারি)
লেখক : শিক্ষার্থী, আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা