শান্তির ধর্ম ইসলাম ও রাজনৈতিক চিন্তা
- ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
- ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ইসলাম আল্লাহর মনোনীত পূর্ণাঙ্গ দ্বীন। আকিদা, ইবাদত, সমাজনীতি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি এবং শিক্ষাসহ মানব জীবনের সবকিছু এই ধর্মের ব্যাপকতার আওতাভুক্ত। ইসলাম ব্যক্তি জীবনে সীমাবদ্ধ নয়। কুরআন কারিমে ইরশাদ হয়েছে- ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম। তোমাদের ওপর আমার নিয়ামত পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে ইসলামকে (চিরকালের জন্য) পছন্দ করে নিলাম।’ (সূরা মায়িদা-৩)
আরো ইরশাদ হয়েছে- ‘হে মুমিনগণ ইসলামে সম্পূর্ণরূপে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চিত জেন, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সূরা বাকারা-২০৮)
সুতরাং কুরআন-সুন্নাহয় মানবজীবনের সব বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা এবং বিধিবিধান রয়েছে। ফিকাহ শাস্ত্রে খুঁটিনাটি সব কিছুর বিস্তারিত আলোচনা আছে। এর কিছু মান্য করা, কিছুকে অস্বীকার করা কুফরি। কুরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে- ‘তবে তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখো এবং কিছু অংশ অস্বীকার করো? তা হলে বলো, যারা এরূপ করে তাদের শাস্তি এ ছাড়া আর কী হতে পারে যে, পার্থিব জীবনে তাদের জন্য থাকবে লাঞ্ছনা। আর কিয়ামতের দিন তাদের নিয়ে যাওয়া হবে কঠিনতর আজাবের দিকে? তোমরা যা কিছু করো আল্লাহ সে সম্পর্কে উদাসীন নন।’ (সূরা বাকারা-৮৫) ইসলাম-পূর্ব আসমানি ধর্মগুলো সারা পৃথিবীর জন্য এবং সব যুগের জন্য ছিল না। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেগুলোতে জীবনের সব বিষয়ের সমাধান নেই এবং সেগুলো পূর্ণাঙ্গ নয়। কিন্তু ইসলাম এর ব্যতিক্রম। তাই ইসলাম মানে শান্তি, ইসলামে অশান্তির কোনো স্থান নেই। এই শান্তির ধর্মকে যারা ব্যবহার করে দিনের পর দিন মানুষের ওপর অন্যায় করে চলেছে তাদের দুনিয়ায় শাস্তি অবধারিত। মৃত্যুর পরে কঠিন শাস্তি পেতে হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। ইসলাম সব ধর্মের প্রতি অত্যন্ত যতœশীল। ইসলামে আছে ধর্ম নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করা যাবে না। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, নারী ধর্ষণ, গণহত্যা, ঘরবাড়ি জ্বালানো, মানুষের প্রতি জুলুম করবে, ইসলামে তাদের কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে। আল্লাহ তাদের কখনো ক্ষমা করবেন না। এই অশান্তি সৃষ্টিকারী ব্যক্তি যদি ইসলামের অনুসারী হয় তাহলে বুঝতে হবে সে ধর্মকে ব্যবহার করছে।
সে এই ধর্মকে কলুষিত করছে, সে হলো ধর্ম ব্যবসায়ী। বর্তমান অনেক ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন আছে, এরা বলে আমাদের ভোট দিলে জান্নাতে যাবেন। এর মানে তারা কী জান্নাতের মালিক, তারা চরম মিথ্যা বলছে, কারণ জান্নাতের মালিক এক মাত্র আল্লাহ। তারা আল্লাহর সাথে শরিক করছে, ইসলামকে অবমাননা করছে, তাদের রুখে দিন, তাদের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বর্জন করুন। তাদের থেকে দূরে থাকুন। দেশকে ভালোবাসুন, দেশের মানুষকে ভালোবাসুন। কুরআন, রাসূল, ইসলাম, হাদিসসহ সব কিছু অবমাননা করতে পারে।
এদের স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটলে এরা হিংস্র দানব হয়ে যায়। এদের থেকে আল্লাহ বাংলাদেশকে হেফাজত করুন। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে সঠিক সত্য শান্তিময় পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।
লেখক : কলাম লেখক ও গবেষক
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা