ইসলামে নারীর মর্যাদা ও নারীবাদ
- মাসুম আলভী
- ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৫
জাহেলি যুগের সমাজব্যবস্থায় নারীদের সম্মান ও সম্পদের অধিকার তো দূরের কথা, তাদের ভোগ্যসামগ্রী মনে করা হতো এবং কন্যাশিশুদের জীবন্ত পুঁতে ফেলা হতো। একইভাবে নারীবাদের পিত্রালয় পশ্চিমা দেশের পূর্বের সমাজব্যবস্থায় নারীদের সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও সম্পদের অধিকার ছিল না। সেই প্রেক্ষাপটে ইউরোপে নারীবাদের উৎপত্তি, পরে সংক্রামক ব্যাধির মতো বিশ্বব্যাপী তা ছড়িয়ে পড়ে। আর নারী অধিকার আদায়ের নামে নারীবাদী আন্দোলন পশ্চিমাদের ফাঁদে পড়ে নারীরা এখন মহারানী থেকে দাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ইসলাম নারীদের সম্মান ও অধিকারের ষোলোকলা পূর্ণ করেছে। নারীদের মা, কন্যা, বোন, স্ত্রী হিসেবে মর্যাদা ও অধিকার দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় করো, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক নফস থেকে। আর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন তার স্ত্রীকে এবং তাদের থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যার মাধ্যমে তোমরা একে অপরের কাছে চেয়ে থাকো। আর ভয় করো রক্ত-সম্পর্কিত আত্মীয়ের ব্যাপারে। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ওপর পর্যবেক্ষক।’ (সূরা নিসা আয়াত-১) এ ছাড়া রাসূল সা.-এর স্ত্রী হজরত খাদিজা রা: নিজে একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। রাসূল সা:-এ সময় নারীরা বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ইসলাম নারীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, মর্যাদা, মূল্যায়ন এবং ন্যায্য অধিকার দিয়েছে।
শিয়াল পৃথিবীর সব মুরগির স্বাধীনতা চায়। ধূর্ত শিয়ালের মুরগির স্বাধীনতায় মাংস ভক্ষণের কামনাই বেশি। পশ্চিমারা নারী ভোগের বাসনা থেকে স্বাধীনতার ধারণা প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন সংগঠনের নামে নারীবাদী আন্দোলন করে। আর ওপারেতে স্বর্গ সুখ ভেবে নারীরা হুমড়ি খেয়ে সেই টোপ গিলছে। আর ফলস্বরূপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও পত্রিকার পাতায় চোখ রাখলেই দেখা যায়; বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে হরহামেশাই নারী যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের খবর। নিজের ঘরে আগুন দিয়ে আলু পোড়া খাওয়ার আনন্দে মত্ত নারীদের হুঁশ ফিরবে তো? আল্লাহর কাছে শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক ক্ষমতায়ন বা স্বাধীনতা নয় বরং তাকওয়া। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘হে মানুষ, আমি তোমাদেরকে এক নারী ও এক পুরুষ থেকে সৃষ্টি করেছি আর তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি। যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পারো। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সেই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক তাকওয়াসম্পন্ন। নিশ্চয় আল্লাহ তো সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত।’ (সূরা হুজুরাত-১৩)
অন্য ধর্ম ও সভ্যতায় নারী
অন্য ধর্মে নারীদের পূর্ণ অধিকার দেয়া হয়নি বরং হীন, পাপের উৎস এবং নরকের প্রবেশদ্বার বলা হয়। পাশ্চাত্য সভ্যতা পারিবারিক বন্ধনে ফাটল ধরিয়ে নারীদের পুঁজিবাদীদের ইচ্ছার পুতুল বানিয়েছে। রাজা যেমনি নাচায় সেভাবেই নাচে, পুতুলের কি আসে যায়? নারীদের বিবেকবোধ এতটাই হ্রাস পেয়েছে, যে নিজের ওপর অন্যের কর্তৃত্ব তবুও বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই। বাজারের পণ্যে ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ থেকে শুরু করে অশ্লীল ছবি সব জায়গাতেই নারী। এছাড়াও রোমান, চীনা, গ্রিক সভ্যতায় নারীদের নি¤œ চোখে দেখা হয়। গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস বলেন, ‘নারী জগতে বিশৃঙ্খল ও ভাঙনের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎস।’ অন্য ধর্ম ও সভ্যতায় নারীদের দৈন্যদশার কারণে নারীবাদী আন্দোলন পশ্চিমা নারীদের সহজে আকৃষ্ট করতে পেরেছে। আর ইসলাম নারীদের পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তথা সব ক্ষেত্রে অধিকার ও যথার্থ মূল্যায়ন করেছে। (বাকি অংশ আগামী দিন)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা