নিখোঁজের ২ মাস পর অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের লাশ উদ্ধার
- তুহিন আহামেদ, আশুলিয়া (ঢাকা)
- ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩
নিখোঁজের ২ মাস পর বাংলাদেশী বংশদূত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক রেহেনা পারভিন (৩৫) নামের এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার মনোদিয়া চওড়াপাড়া এলাকায় নিহতের ননদের বাড়ির উঠান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দুইজনকে আটকও করা হয়েছে।
রেহেনা পারভিন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পাতিলা গ্রামের লেহাজ উদ্দিনের মেয়ে।
আটককৃতরা হলেন, রেহানার ননদ পাপিয়া আক্তার এবং চাচা আমজাদ হোসেন।
পুলিশ জানায়, গত ২৯ জুন রেহানা পারভিন অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে এসে বাবার বাড়িতে উঠেন। পরের দিন তিনি বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যান। শ্বশুর বাড়িতে কিছু দিন থাকার পরে ৩ জুলাই তিনি বাবার বাড়িতে কল দিয়ে জানান তাকে মারধর করা হয়েছে। এরপর থেকেই তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনার পর ৩ জুলাই তার পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর তার স্বামী আওলাদ হোসেন, চাচা আমজাদ হোসেন, ননদ পাপিয়া আক্তার এবং মাকসুদাসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। ওই মামলায় রেহানার চাচা আমজাদ হোসেন ও ননদ পাপিয়া আক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তার লাশের খোঁজ মেলে। তবে রেহেনার স্বামী পলাতক রয়েছে।
নিহতের মা আইরিন আক্তার জানান, ‘১৬ বছর আগে তাকে (রেহেনা) পড়াশোনার জন্য অস্ট্রেলিয়া পাঠিয়েছিলাম। সেখানেই আওলাদের সাথে তার পরিচয় হয় এবং তারা বিয়ে করেন। তাদের ঘরে চারজন সন্তান হয়। স্বামী-সন্তান নিয়ে সেখানেই বসবাস করতেন। অস্ট্রেলিয়া থাকাকালীন সময়ে তার মেয়ে অনেক সম্পদের মালিক হন। ওই সম্পদের জন্যই তার মেয়েকে হত্যা করে গুম করেছে পাষন্ডরা। তিনি সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসি চান।’
নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদ খান জানান, ‘ঘটনায় জড়িত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের দেয়া তথ্য মতে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরেই তাকে হত্যা ও লাশ মাটিতে পুতে রাখা হতে পারে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দোহার সার্কেল) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, তাদের বেশিরভাগ সম্পত্তি দেশে থাকায় মাঝে মধ্যেই রেহেনা দেশে আসতেন। তবে ওই সম্পত্তির বেশিরভাগই রেহেনা পারভিনের নামে। এর জের ধরেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে তুলে নিয়ে হত্যা করে লাশ নির্মাণাধীন বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা হয় বলেও জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা