ফরিদপুরে ওবায়দুল কাদেরসহ আ’লীগের চারশতাধিক নেতাকর্মীর নামে হত্যা মামলা
- ফরিদপুর প্রতিনিধি
- ২২ আগস্ট ২০২৪, ১৯:৫০
ফরিদপুরে বাসচালক শামসু মোল্লাকে (৬২) হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের তিন থেকে চারশ নেতাকর্মীকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন নিহত শামসু মোল্লার স্ত্রী মঘলা বেগম (৩১)।
এর আগে ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বিকেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লা নিবাসী সামসু মোল্লা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হাসানুজ্জামান বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, এ মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে শুধুমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাকে (ওবায়দুল কাদের) বানানো হয়েছে হুকুমের আসামি। এছাড়া দায়ের করা এ মামলায় জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেক লীগ ও শ্রমিক লীগের অজ্ঞাতনামা তিন থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাশার বলেন, সিসি টিভির ফুটেজ দেখে আসামি সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, তবে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত এ হত্যা মামলার কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বিকেল ৫টার দিকে একদল মানুষ ফরিদপুর কোতয়ালী থানা ঘেরাও করতে যায়। এ সময় পুলিশের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় থানা ঘেরাও করতে যাওয়া ব্যক্তিদের। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও মুহুর্মুহু গুলি ছুড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিতে নিহত হন পথচারী শামসু। গুলিটি তার নাক ও ঠোঁটের মাঝ দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়।
শামসু শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লা এলাকার বাসিন্দা মরহুম মোবারক মোল্লার ছেলে। প্রথম স্ত্রীর সাথে তালাক হয়ে যাওয়ার পর তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রেড়াদি গ্রামের মেঘলা বেগমকে বিয়ে করেন। শামসু মেঘলা দম্পতির একমাত্র মেয়ে ছয় বছরের সাম্মি। সাম্মি স্থানীয় বায়তুল আমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। নিহত শামসু মোল্লা ফরিদপুরের করিম গ্রুপের মালিকানাধীন গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাসের চালক ছিলেন।