সাভারে এক শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
- সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
- ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১:২৫
সাভার পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাশনের ঐতিহ্যবাহী আল-হেরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠা ও ফেডারেশন অব কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন সাভার উপজেলার মহাসচিব মো: শফিকুল ইসলামের (৪৮) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে নিজ প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে জলন্ত অবস্থায় পরিবারের লোকজন লাশটি উদ্ধার করে। পরে খাটিয়াতে রেখে পুলিশকে খবর দিলে তার লাশ থানায় নিয়ে যায়।
নিহত শিক্ষক মধ্য রাজাশনের সামছুদ্দিনের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমাস্তাপুরে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আল-হেরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ বিগত প্রায় ২৫ বছর আগে প্রথমে মধ্য রাজাশনে ভাড়া বাড়িতে এর কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে তার পাশেই ছয় তলা নিজস্ব ভবণ তৈরি করে কলেজের কার্যক্রম চলে আসছিল। ভবনের তৃতীয় তলায় শিক্ষকের বাসভবন ছিল। আর পুরাতন ভাড়াবাড়িতে ছিল স্কুল শাখা।
শুক্রবার সকালে তিনি বাসা থেকে বের হলে জুম্মার নাজার শেষে যখন তিনি বাসায় আসছিল না তখন তাকে খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের লোকজন। পরে নীচতলার অফিস কক্ষের জানালা দিয়ে তার লাশ সিলিং ফ্যানের সাথে জুলন্ত দেখে ভেতর থেকে ছিটকারী দেয়াবস্থায় দরজা ধাক্কা দিয়ে তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে রশি কেটে লাশটি উদ্ধার করে খাটিয়াতে রেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়।
স্কুলের এক অভিভাবক জানান, ২০২৩ সালে স্কুলের আল-হেরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের কিছু শিক্ষক নিহত শফিকুল ইসলামের সাথে কিছু জিনিস নিয়ে দ্বন্দ্ব হলে পাশেই ইউনিক ইন্টান্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড নামে একটি প্রতিষ্ঠান করলে শফিকুল ইসলাম মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তিনি আরো জানান, নিহত শিক্ষক সফিকুল ইসলাম সবার কাছে খুবই প্রিয় শিক্ষক বলে পরিচিত ছিলেন।
অপর একটি সূত্র জানায়, স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে স্ত্রী ও মেয়েসহ পারিবারিকভাবেও কিছু ব্যাপার নিয়ে মানসিকভাবে তিনি খুবই দুঃচিন্তায় সব সময় থাকতেন।
নিহত শফিকের মা জানান, প্রায় এক-দেড় বছর তার ছেলের মাথায় সমস্যা হলে তিনি নিয়মিত ওষুধ খেতেন ।
এদিকে সবার প্রিয় এবং দীর্ঘদিন শিক্ষকতার কারণে তার একটা সুনাম ছিল। এজন্য মুহূর্তের মধ্যে তার মৃত্যুর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তার ছাত্র-শুভাকাঙ্ক্ষিরা ঘটনাস্থলে আসতে থাকেন। আর এ খবর গণমাধ্যমের কর্মীরা খবর পেয়ে খবর ঘটনাস্থলে গেলে তখন নিহত শিক্ষকের বড় মেয়ে সামিয়া ইসলাম সাফা (১৮) এবং স্কুলের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী সংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে বাধা প্রদান ও ভবনে ডুকতে বারণ করার অভিযোগ উঠলে স্থানীয় সাধারণ মানুষের মনে শিক্ষকের মৃত্যুর একটা রহস্যের সৃষ্টি হয়।
নিহত শিক্ষকের শুভাকাঙ্ক্ষি ও স্থানীয়রা জানান, স্কুলের অফিস কক্ষসহ পুরো স্কুলের সিসি ক্যামরার ফুটেস সংগ্রহ করলে তার মৃত্যুর অন্তত কিছু একটা রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। নিহতের শিক্ষকের বড় মেয়ে একই প্রতিষ্ঠানে এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী আর তার ছেলের নাম মো: মুশফিকুল ইসলাম (১৩) শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
সাভার মডেল থানার (এসআই) রাজীব সিকদার জানান, শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে প্রেরণ করেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা এটা আত্মহত্যা বলে ধারনা করছি। সিসি ক্যামরার পাসওয়ার্ড নিহত শিক্ষক ও তার স্ত্রীর কাছে রয়েছে। যেহেতে শিক্ষক মারা গেছেন আর তার স্ত্রী আছেন তার কাছ থেকে পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করে তা আমরা যাচাই-বাছাই করব। ময়নাতদন্ত শেষে তার প্রকৃত মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা