দিনে উবারচালক, রাতে ডাকাত
- মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
- ২৬ জুন ২০২৪, ১৮:৪৬
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ডাকাতির ঘটনায় তিন আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার সম্মেলন কক্ষে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মঙ্গলবার ডাকাত মো: শরীফ সরকারকে (২৬) নারায়নগঞ্জ জেলার দক্ষিণ কাঁচপুর এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাত মো: রানা (২৬) ও মো: সাজেদ আলমকে (২১) আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল, দু’টি হেলমেট, একটি চাকু, একটি চাপাতি, ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত একটি স্বর্ণের চেইন ও একটি আইফোন এবং একটি সিম্পনি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) অপস অ্যান্ড ক্রাইম মোহাম্মদ বদিউজ্জামান জানান, ‘২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়া ফরাজিকান্দি গ্রামের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা-গোমতি সেতুর ওপর ছয় থেকে সাতজন সংঘবদ্ধ ডাকাত দল অত্র মামলার বাদী একজন প্রবাসী জনাব উসমান এবং তাহার ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার গতিরোধ করে ডাকাতি করে। এই ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্য গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানায়। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উবার চালক সেজে যেসব গাড়িতে প্রবাসীরা যাতায়াত করে ওই সব গাড়ি টার্গেট করে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। ইতোমধ্যে তারা একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছে। তাদের নামে বিভিন্ন জেলায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর তারিখে দু’টি মোটরসাইকেলে মোট ছয়জন ডাকাত সংঘবদ্ধ হয়ে অবস্থান করছিল। গজারিয়া থানার বালুয়াকান্দি থেকে উক্ত প্রাইভেটকারের পিছনে পিছনে যায়।
জানা গেছে, অত্র মামলার বাদী প্রবাসী জনাব উসমান তার ভাড়াকৃত প্রাইভেটকারে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়া ফরাজিকান্দি গ্রামের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা-গোমতি সেতুর ওপর পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য মো: শরিফ সরকার ও ডাকাত জাহিদ তাদের মোটরসাইকেলে অন্য ডাকাতদের নিয়ে ওই প্রাইভেটকার গাড়িটিকে সামনে থেকে বেরিকেট দেয়। শরিফ সরকার মোটরসাইকেল থেকে নেমে চালকের পাশে গিয়ে গাড়ির চাবি নিয়ে নেয়। পরে সাজেদ আলম একটি চাপাতি ও মো: রানা একটি চাকু এবং জাহিদ একটি ছোরা বের করে অন্যান্য ডাকাত মিলে ওই গাড়ির যাত্রী ও ড্রাইভারকে জিম্মি করে ভয় দেখিয়ে চালকসহ তাদের সকলের কাছে থাকা সকল মোবাইল ফোন, স্বর্ণলঙ্কার ও একটি লাগেজ নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।