ফতুল্লায় ২ গ্রুপের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ ১২
- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ও ফতুল্লা সংবাদদাতা
- ২৬ মে ২০২৪, ২০:৫৯
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছে। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে পাঁচ-ছয়টি বাড়ি। খবর পেয়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
রোববার (২৬ মে) বিকেল থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবরনগর এলাকায় রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
আহতদের মধ্যে সাইদুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
আহত সাইদুলের বোন সাবিনা বলেন, ‘রহিম হাজীর লোকজন আমাদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন রক্তাক্ত জখম হয়। আমার ভাই বুকে টেঁটাবিদ্ধ হয়েছে, আইসিইউতে আছে। টেঁটা বের করতে পারেনি। তার বাঁচার আশা কম।’
আহতদের মধ্যে জসিমের স্ত্রী চম্পা বেগম, কাশেমের ছেলে আমিন ও জসিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (ক-অঞ্চল) জহিরুল ইসলাম ও ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এলাকাবাসী জানায়, রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে প্রায় এক যুগ ধরে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে। তাদের সংঘর্ষে বিভিন্ন সময় উভয় গ্রুপের একাধীক লোক টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রোববার দুপুর থেকে রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। বিকেলে উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে টেঁটা, রাম দা হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন টেঁটাবিদ্ধ হ। তাৎক্ষণিক আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়। উভয় গ্রুপের লোকজন পাঁচ-ছয়টি বাড়ি ভাঙচুর করে।
ফতুল্লা বক্তাবলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মফিজ উদ্দিন জানান, ১৭ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়ে। আকবরনগরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একাধিক লোক টেঁটাবিদ্ধ হয়েছে।
আহতদের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা