১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

স্রোত বা বাতাস ছাড়াই দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় নদীভাঙন

ভাঙন প্রতিরোধে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে - ছবি : নয়া দিগন্ত

অসময়ে পদ্মার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় চলছে তীব্র নদীভাঙন। ভাঙনের জন্য নদীতে কোনো স্রোত বা বাতাস না থাকলেও রাস্তাসহ নদীর পার পানিতে ভেঙে পড়ছে। তবে এলাকাবাসী জানান, ঘাটের দক্ষিণ পাশের বালু কেটে নেয়ায় এ ভাঙ্গন শুরু।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত শুক্রবার (৩ মে) সকাল থেকে ভাঙন শুরু হয়। ওই দিন থেকেই ৬ নম্বর ঘাটটি দিয়ে ফেরি পারাপার বন্ধ রয়েছে।
এক সপ্তাহে (১০ মে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত) ফেরিঘাটের মূল রাস্তাসহ ২৫-৩০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

এদিকে ভাঙনকবলিত আশপাশের অসহায় লোকজন দোকানপাট, ব্যবসাকেন্দ্র ও ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

তবে ভাঙন প্রতিরোধে গত দুই দিনে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এক হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে বলে জানা গেছে।

এ সময় গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেন এবং নির্দেশনা দেন।

শুক্রবার সরেজমিনে দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ভাঙন এলাকায় দেখা যায়, বিআইডব্লিউটিএ’র সহযোগিতায় ট্রলার থেকে বালুভর্তি করে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলছেন শ্রমিকরা।

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগেভাগে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিলে এতবড় ক্ষতি কখনো হতো না।

বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ট্রলার থেকে বালুভর্তি করে ভাঙন স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আপাতত ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগগুলো ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী ভাঙন ঠেকাতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেবেন।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ভাঙন স্থান পরিদর্শন শেষে বলেন, দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাটে হঠাৎ ভাঙনের খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আপাতত ভাঙন ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement