১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

৭ খুন মামলার রায় কার্যকরের দাবি পরিবার ও আইনজীবীদের

৭ খুন মামলার রায় কার্যকরের দাবি পরিবার ও আইনজীবীদের - ছবি : নয়া দিগন্ত

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনায় ১০ বছরেও বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও বাদি পক্ষের আইনজীবীরা। এ বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করেছেন সর্বস্তরের আইনজীবীরা। সেখানে অংশ নিয়েছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরাও।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ওই মামলাটি সাত বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ডিভিশনে ঝুলে থাকা রায়টি দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে আদালত প্রাঙ্গনে সর্বস্তরের আইনজীবীর ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।

সাত খুনের ঘটনায় বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালীন সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন নিহত জাহাঙ্গীরের সহধর্মিণী নুপুর আক্তার, নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের ভগ্নীপতি প্রিয়তম কুমার দেবসহ অনেকেই।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যেই নৃশংস সাতটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের যেই রায় হয়েছে তা অবিলম্বে কার্যকর করা এবং আপিল ডিভিশনে মামলাটি যে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে তা দ্রুত নিষ্পত্তি করে রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।

তারা আরো জানান, সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে এই মামলাটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আপিল ডিভিশনে শুনানি ব্যবস্থা করতে হবে এবং যারা দোষী তাদের শাস্তি কার্যকর করার মাধ্যমে সাত খুনের মামলার পরিসমাপ্তি হলে এর মাধ্যমে নিহতের পরিবার ও নারায়ণগঞ্জবাসীসহ সারাদেশের মানুষ একটি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালতে এক মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের দু’দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীর মোহনা থেকে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরের দিন আরো একটি লাশ উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদি হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন থানায়। পরে আদালত আসামিদের স্বীকারোক্তি, জবানবন্দী ও স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৩৩ মাস পর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি রায় প্রদান করেন। রায়ে ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনকে ১০ বছর করে এবং দু’জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ আপিল করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৮ সালে ২২ আগস্ট হাইকোর্ট সাত খুনের অন্যতম আসামি সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১ সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আরিফ হোসেন, এম এম রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড আদেশ বহাল রাখা হয়েছে। আর ১১ জনের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রাখা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে ৫৩ নাগরিকের উদ্বেগ ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে দুর্নীতি কে প্রশয় দেয়া হবে না : জাতীয় নাগরিক কমিটি ফতুল্লা থেকে অপহৃত ২ শিশু বরিশাল থেকে উদ্ধার মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করা শিক্ষককে চাকরিচ্যুতের দাবি টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তি ট্রাম্প আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য দিবসে রিকের র‌্যালি ও মানববন্ধন অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সভাপতি হাসান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল চুয়েটে র‌্যাগিংয়ের দায়ে ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ঢাকায় উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার না করতে ডিএমপির নির্দেশনা তামিমের ঝড়ে জয় পেল চট্টগ্রাম তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা, কর্মকর্তা প্রত্যাহার

সকল