১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বান্দরবানে কম্বিং অপারেশন শুরু, নেয়া হয়েছে ৪টি এপিসি

বান্দরবানে কম্বিং অপারেশন শুরু, নেয়া হয়েছে ৪টি এপিসি - ছবি : নয়া দিগন্ত

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে। অভিযানে অংশ নিতে ঢাকা থেকে নেয়া হয়েছে চারটি বিশেষ সাঁজোয়া যান এপিসি।

সোমবার এপিসিগুলো র রুমা ও থানচি উপজেলায় পৌঁছানো হয়েছে একটি সূত্রে জানা গেছে।

চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসারসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। দুর্গম এলাকায় চলছে সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে অভিযান।

এদিকে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালিয়ে ব্যাংক ডাকাতির সাথে জড়িত সন্দেহভাজন তিন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্য ভানন্নূন ময় বম, জেমেনিউ বম ও আমে লানচেও বমকে আটক করেছে। তাদের বাড়ি রুমা উপজেলার সিমত্লাংপি পাড়ায়। এছাড়া থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির সময় ব্যবহৃত গাড়ির চালক থানচির টিএনটি পাড়ার মো: কফিল উদ্দিন সাগরকে (২৮) আটক করা হয়েছে।

জানা গেছে, সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলা শহর থেকে উপজেলাগুলোতে যাত্রীবাহী বাস অনিয়মিতভাবে চলাচল করছে। যাত্রী এবং জনসাধারণের দুর্ভোগ ভয়ভয় আকার ধারণ করেছে। তিনটি উপজেলায় সোনালী কৃষি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো বন্ধ রয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেনদেন হচ্ছে না। এসব উপজেলার লোকজন জেলা সদরে গিয়ে লেনদেন করছে।

এদিকে সন্ত্রাসী তৎপরতা ও অভিযানে তিনটি উপজেলায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। দুর্গম এলাকাগুলো থেকে থেমে থেমে গুলির আওয়াজ আসছে।

পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বান্দরবানের তিনটি উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে।

এর আগে, রোববার সকালে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সেনাপ্রধান সাংবাদিকদের বলেন, সংলাপে অংশ নেয়ায় মূলত আমরা তাদের বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু তারা বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। এলাকায় শান্তি বিনষ্ট করেছে। এ কারণে সন্ত্রাসী তৎপরতা দমন ও এলাকার মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী যা যা প্রয়োজন তা করবে। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীগুলো সমন্বিতভাবে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের কোনোভাবে আর ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান সেনাপ্রধান।

শান্তি চুক্তির পর পাহাড় থেকে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প গুটিয়ে নেয়ার এ সুযোগটি সন্ত্রাসীরা গ্রহণ করেছে জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, সন্ত্রাসীরা মূলত শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবেই বান্দরবানের ব্যাংক ও স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে।

এর আগে তিনি বান্দরবানের বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন। রোববার সকালে তিনি হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানে যান। বান্দরবান সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও সৈনিকদের সাথে তিনি মতবিনিময় করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
মানবসেবার জন্যই হাসপাতাল করেছি : জামায়াত আমির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত চট্টগ্রামে সাবেক এমপি মোতালেবসহ ২৪৮ জনের নামে মামলা চিন্ময়ের জামিন শুনানি জানুয়ারিতেই ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, শুরু ১০ এপ্রিল ডেঙ্গুতে আরো ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৪৪ ধবলধোলাই এড়াতে ৩ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ নববর্ষের প্রকাশনা ইসলামী শ্রমনীতির প্রচারে ভূমিকা রাখবে : শামসুল ইসলাম ‘শেখ হাসিনা দেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করতে চায়’ বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা ই-সিগারেটকে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত

সকল