২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক - ছবি : নয়া দিগন্ত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় দশম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়।

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পাঁচজনকে সমন দেয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে মামলার বাদী মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার ছেলে, চার্জশিটে ৩১ নম্বর সাক্ষী আব্দুর রহমানসহ দুজন সাক্ষী উপস্থিত হয়েছেন। অন্য দুজন হলেন চার্জশিটের ৩৩ নম্বর সাক্ষী সাংবাদিক এনামুল হক বিদ্যুৎ ও ৩৪ নম্বর সাক্ষী সাংবাদিক নুরনবী।

দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণার ছেলে আব্দুর রহমান ও পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনের সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে। সেজন্য মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে। আমরা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সাথে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওইসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে। এরপর ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুলকে। পরে এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।


আরো সংবাদ



premium cement