ফরিদপুরে পৌর মেয়রের ভাইয়ের বেধড়ক পিটুনিতে গুরুতর আহত সাংবাদিক
- ফরিদপুর সংবাদদাতা
- ০১ আগস্ট ২০২২, ১৭:৩৮
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় স্থানীয় সাংবাদিক মুজাহিদুল ইসলাম নাঈমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন পৌর মেয়রের ভাই ও তার লোকেরা।
সোমবার দুপুরে আলফাডাঙ্গা বাসস্টান্ডের কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজে (বিএসএমএমসি) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মুজাহিদুল ইসলাম ঢাকাটাইমস পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক।
সাংবাদিক মুজাহিদ জানান, আলফাডাঙ্গা পৌর মেয়র সাইফুর রহমান সাইফারের ভাই জাপান ও তার পাঁচ-ছয়জন সহযোগী আকস্মিক এ হামলা চালায়। তারা লোহার রড, স্ট্যাম্প, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তাকে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে তাদের ওপরও চড়াও হয় তারা। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আলফাডাঙ্গার রাজধানী পরিবহনের কাউন্টার থেকে ঢাকাগামী একটি বাসের টিকেট কেটে বাসে ওঠেন রমিজ নামে এক যাত্রী। তবে বাস ছাড়ার আগ মূহুর্তে টিকেট কাটেননি বলে বাস থেকে রমিজকে নেমে যেতে বলা হয়। বিষয়টি জানিয়ে সাংবাদিক নাঈমের সহযোগিতা চান রমিজ। এরপর ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি সুরাহার কথা বলতেই সাংবাদিক মুজাহিদের ওপর চড়াও হয় কাউন্টারের ম্যানেজার জাপান ও তার সহযোগীরা। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মুজাহিদের ওপর তারা হামলা করে তারা। জাপান স্থানীয় পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফারের ছোট ভাই।
আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সেকেন্দার আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি মুজাহিদকে দুর্বৃত্তরা লোহার রড ও কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। তার হাত ও পায়ে বেশ জখম হয়েছে। পরে এক্সরে করা হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকরা তাকে ফরিদপুরে রেফার করেন।
সাংবাদিক মুহাজিদকে হত্যার উদ্দেশেই এমন মারপিট করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাকে মেরে ফেলার জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়রা এগিয়ে আসায় তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। বিষয়টি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানানো হয়েছে। আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেছেন সাংবাদিকরা। তারা জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন
বলে তারা জানান।
এ বিষয়ে মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কর বলেন, ‘ঘটনা জানার পরপরই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে মামলা রুজু হবে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছি।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা