শ্রীনগরে নিখোঁজের প্রায় ২০ দিন পর গৃহবধূর কঙ্কাল উদ্ধার
- শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:১৬
শ্রীনগরে নিখোঁজের প্রায় ২০ দিন পর এক গৃহবধূর কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার হাঁসাড়গাও এলাকা থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় কঙ্কালের পাশে থাকা স্যান্ডেল, চুলের ব্যান্ড ও জামা দেখে ওই গৃহবধূর মেয়ে অরিন সনাক্ত করেন কঙ্কালটি তার মা কুলসুম বেগমের (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুলসুম বেগম হাঁসাড়গাও গ্রামের ইকবাল শেখের স্ত্রী। গত ১৯ ডিসেম্বর ইকবাল পাঁচ বছরের এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় গ্রেফতার হন। তিনি এখনো জেলহাজতে রয়েছেন। ইকবাল জেলে যাওয়ার পরপরই কুলসুম বেগম তার বাবার বাড়ি উপজেলার রুসদী গ্রামে চলে যান। তার ছেলে অয়ন (২০) মানিকগঞ্জ থাকেন। মেয়ে অরিন বেলতলী জিজে উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
হাসিনা বেগম জানান, কুলসুম বেগম কবে নিখোঁজ হয়েছেন তা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারছে না। ইকবাল জেলে যাওয়ার পর থেকে কুলসুম বাবার বাড়ি বা শ্বশুর বাড়ির কোথাও নির্দিষ্টভাবে থকতেন না। তবে সর্বশেষ তিনি প্রায় ২০ দিন আগে তার মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে যান।
কুলসুম বেগমের ভাশুর মীর হোসেন বলেন, তার ভাতিজা অয়ন গত ২৯ জানুয়ারি মানিকগঞ্জ থেকে এলাকায় বিয়ের দাওয়াত খেতে আসেন। তাকে নিয়ে এনজিওর লোকজন তার নানার বাড়িতে গিয়ে কুলসুম বেগমের খোঁজে করেন। কিন্তু ভাতিজা তার মায়ের নিখোঁজের বিষয়টি তাদের জানাননি।
কুলসুম বেগমের বাবা আলী অকবর তার মেয়ের নিখোঁজের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারছেন না। তবে দুই পরিবারের লোকজন ধারণা করেছিল কুলসুম বেগম কারো সাথে চলে গেছেন।
কুলসুম বেগমের নিখোঁজের বিষয়ে তার ছেলে অয়ন, মেয়ে অরিন ও বাবা আলী অকবরের নির্লিপ্ততার কারণে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
কঙ্কালের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন শ্রীনগর থানার এসআই মুজাহিদ। তিনি জানান, কুলসুমের পরিবারের লোকজন বলছে তিনি প্রায় ২০ দিন আগে নিখোঁজ হয়েছেন। কিন্তু কঙ্কাল ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নেই।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যা মামলা রেকর্ড করে শনিবার সকালে তা ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ প্রোফাইলের জন্য পাঠানো হবে।