ছাত্রীকে আড়াই মাস আটকে রেখে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেফতার
- গাজীপুর সংবাদদাতা
- ১৬ অক্টোবর ২০২০, ১৯:০৩, আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২০, ১৯:১৬
গাজীপুরে কম খরচে পড়াশুনা করানোর কথা বলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী এক শিশুকে আটকে রেখে প্রায় আড়াই মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগে এক মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার র্যাবের স্পেশালাইজ পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন এ তথ্য জানান।
ওই শিক্ষকের নাম মো. আসাদুজ্জামান (৩৫)। তিনি খুলনার কসবা থানার উত্তর কাশি এলাকার মো. মোবারক আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর থানা এলাকার ধলাদিয়া মাদরাসার শিক্ষক।
র্যাব-১ এর কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, শ্রীপুরের রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ধলাদিয়া এলাকার রাজ্জাক মিয়ার বাড়িতে দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থেকে স্থানীয় ওই মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন আসাদুজ্জামান। তিনি ধলাদিয়া মহিলা মাদরাসায় কম খরচে পড়াশুনা করানোর ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে গাজীপুর মহানগরীরর দক্ষিণ সালনা এলাকার হতদরিদ্র এক পরিবারের এক শিশু মেয়েকে গত দুই আগস্ট বাড়ি থেকে নিয়ে যান। শিশুটিকে মাদরাসায় ভর্তি না করিয়ে ধলাদিয়ার একটি বাসায় আটকে রেখে দিনের পর দিন জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছিলেন ওই মাদরাসা শিক্ষক আসাদুজ্জামান।
এদিকে শিশুটির খোঁজখবর নিতে তার বাবা ওই মাদরাসা শিক্ষককে মোবাইলে ফোন করলে মেয়ে ভাল আছে এবং লেখাপড়া নিয়ে ব্যাস্ত আছে বলে জানাতো আসাদুজ্জামান। এভাবে প্রায় আড়াই মাস কেটে গেলে শিশুটির বাবার মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তিনি মেয়ের খোঁজখবর জানতে ও তাকে দেখতে ধলাদিয়া মহিলা মাদরাসায় গিয়ে মেয়েকে পাননি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার মেয়েকে মাদরাসায় ভর্তি না করিয়ে স্থানীয় একটি গোপন কক্ষে আটকে রেখে হত্যার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে আসছেন শিক্ষক আসাদুজ্জামান। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়।
তিনি আরো জানান, নিরুপায় হয়ে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য র্যাবের সহযোগিতা কামনা করেন শিশুটির বাবা। এরপ্রেক্ষিতে গোপন কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে র্যাব। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদেরভিত্তিতে র্যাব-১’র পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা গাজীপুর সিটি করপোরেশন দক্ষিণ সালনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসাদুজ্জামানকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শ্রীপুরের ধলাদিয়া এলাকার তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।