২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আউশের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

-

কিশেরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আউশ ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আউশ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এই উপজেলার কৃষকরা উন্নত জাতের (ব্রি. ধান-৪৮) আউশ ধান চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছে কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে কটিয়াদী পৌরসভা, জালালপুর, লোহাজুরী, আচমিতা, মসূয়া, বনগ্রাম ইউনিয়নে তিন হাজার পাঁচ শ’ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদ করার লক্ষ্যমাত্রা হলেও এ বছর আউশ মৌসুমে তিন হাজার আট শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। কৃষকরা ব্রি. ধান ৪৮, নতুন জাত ব্রি. ধান ৮২, ব্রি. ধান ৮৫ চাষ করা হয়। এসব জাতের মধ্যে ব্রি ধান-৪৮ চাষে ব্যাপকভাবে সাড়া পেয়েছে এ অঞ্চলের কৃষকরা। ফলন ভালো হওয়ায় সাধারণ কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

কৃষকরা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত এ উপজেলার কৃষকরা আউশ মৌসুমে স্থানীয় জাতের বীজ আবাদ করতো। এ জাতের আউশ ধানের ফলন খুবই কম হওয়ায় কৃষকরা আউশ ধান আবাদে দিনে দিনে অনীহা প্রকাশ করে। যদিও চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে আউশের আবাদে মনোযোগী হয় কৃষকরা।

এদিকে আউশের বাম্পার ফলন হওয়ায় আউশ চাষে কৃষকরা আগামীতে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত হবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি অধিদফতর।

এ ব্যাপারে পৌরসভা গ্রামের কৃষক জীবন ভূইয়া জানান, ‘বোরো ধানের তুলনায় আমরা কম খরচে আউশ ধান আবাদ করে ভাল ফলন পেয়েছি, যা আশা করিনি।’

আরেকজন কৃষক বোরহান উদ্দিন জানান, ‘কৃষি অফিসের পরামর্শেই আমরা আউশের আবাদ করেছি। এবার অল্প খরচে ভালো ফলন হয়েছে বলে জানান এ কৃষক।’

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মুকশেদুল হক বলেন, ‘এই উপজেলার কৃষকরা পূর্বে স্থানীয় আউশ ধানের আবাদ করত। এই বছর আমরা কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভা করে উচ্চ ফলনশীল নতুন ব্রি.ধান-৪৮ আবাদ করার পরামর্শ দেই এবং বীজ, সার ও সেচ সহায়তা প্রদান করি। কৃষকরা আমাদের পরামর্শে উক্ত জাতের ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছে। তাদের এ ফলন দেখে এবং তুলনামূলক খরচ কম হওয়ায় অন্য কৃষকরা আগ্রহ দেখাচ্ছে। আশা করছি এই বছরের তুলনায় আগামী বছর আরো বেশি জমিতে এ ধানের আবাদ হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement