টাঙ্গাইলে রাজনৈতিক বিরোধেই খুন হন আ’লীগ নেতা নিক্সন
- টাঙ্গাইল সংবাদদাতা
- ০৪ আগস্ট ২০২০, ১৮:৫৪
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কলেজ শিক্ষক আমিনুল ইসলাম তালুকদার নিক্সন হত্যা মামলায় প্রধান আসামী ছাত্রলীগকর্মী সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরেই নিক্সনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে সুমন স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করেন।
গ্রেফতারকৃত অপর দুই আসামী সুজন ও ফারুককে চার দিনের রিমাণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হয়। এর আগে রোববার রাতে এজাহারভুক্ত এই তিন আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের তিনজনের বাড়িই গোপালপুরের আজগড়া এলাকায়।
টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর তানবীর আহাম্মেদ নয়া দিগন্তকে জানান, মঙ্গলবার তিনজনকেই আদালতে তোলা হয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুম আসামী সুমনের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া সুজন ও ফারুকের বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমাণ্ড চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট চার দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
ধনবাড়ি থানার ওসি মো. চান মিয়া নয়া দিগন্তকে বলেন, রোববার রাতে গোপালপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সুমন, সুজন ও ফারুককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। থানায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা তিনজনই এই হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তবে আদালতে শুধু সুমন নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হন। রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরেই নিক্সনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিতে সুমন উল্লেখ করেন বলে ওসি জানান।
উল্লেখ্য, ঈদের আগের দিন (গত শুক্রবার) রাতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হন নিক্সন। তার বাড়ি গোপালপুরের হাদিরা ইউনিয়নের আজগড়া গ্রামে। ওই দিন রাতে গ্রামের বাড়ি থেকে ধনবাড়ির বাসায় ফেরায় পথে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরে তার ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদি হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ধনবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন হয়েছেন নিক্সন। তিনি টাঙ্গাইলের লায়ন নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
মানববন্ধন
এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) জেলা শাখা মঙ্গলবার টাঙ্গাইল শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানবন্ধনের আয়োজন করে। জেলা সভাপতি মো. আজাহার আলী মিয়া এতে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন এস.এম. আব্দুল আউয়াল, অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান, অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ ড. হাবিবুর রহমান, অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর হোসেন। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা