মেয়ের মৃত্যু নিয়ে মায়ের সংবাদ সম্মেলন
- গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা
- ০২ মে ২০২০, ১৩:১৪, আপডেট: ০২ মে ২০২০, ১৩:৪৭
গোপালগঞ্জ শহরের পূর্ব মিয়াপাড়ায় শ্বশুড়বাড়িতে গৃহবধূ সাহিদা আলম সুমনা আত্মহত্যা করেননি, তাকে নির্যাতনের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শুক্রবার গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন সুমনার মা রাজিয়া আলম। তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বড় ছেলের স্ত্রী তাসফিয়া ইসলাম। ফারিমা নামে সুমনার দুই বছরের একটি কন্যা রয়েছে।
রাজিয়া আলমের অভিযোগ, ২০১৬ সালে পূর্ব মিয়াপাড়ার ইদ্রিস সরদারের ছেলে করিম সরদার সজীবের সাথে তার মেয়ে সুমনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবি করে সুমনার উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতণ চালিয়ে আসছিল স্বামীসহ শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। তারা গত ২৮ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে তাকে মোবাইল ফোনে মেয়ের আত্মহত্যা করেছে বলে জানায়। তিনি দ্রুত পরিবারের লোকজন নিয়ে সেখানে যান এবং দেখতে পান, গেটে তালা মেরে পুলিশ বাড়িটি ঘেরাও করে রেখেছে। এরপর তাদের ওই বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হয়নি; মেয়ের মুখটাও দেখতে দেয়া হয়নি। পরে অনেক দৌঁড়াদৌঁড়ি শেষে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে লাশের ময়নাতদন্ত হয়। এজন্য তিনি দাবি করছেন, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি; তাকে পূর্বের ন্যায় নির্যাতনের পর হত্যা করে রশি দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্তরাও পুলিশের ছত্রছায়ায় ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়ে। তিনি বলেন, পুলিশের এহেন আচরণে আমরা ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা করছি।
সংবাদ-সম্মেলনে উপস্থিত সুমনার মা রাজিয়া আলম, ভাই রাজিব মুন্সী, সজিব মুন্সী, খালা লিপি বেগমসহ পরিবারের লোকজন এ মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ ছানোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তাদের মামলার করার কথা বলা হলেও তারা তা করেনি। আমরা নিজেদের উদ্যোগে জিডি করে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি। রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে তারা পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সঠিক নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা