ফরিদপুরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২৫
- ফরিদপুর সংবাদদাতা
- ১০ মার্চ ২০২০, ১৫:২৪
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে পাঁচজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
সোমবার রাতে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় থানায় পুলিশ বাদী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় ইউসুফদিয়া বাজারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামানের সমর্থক রাজিবের সাথে প্রতিপক্ষ এনায়েত হোসেনের সমর্থকদের কথা কাটাকাটির পর একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে পূর্বশত্রুতা চলছিলো।
এর জের ধরে রাত ৮টার দিকে উভয় পক্ষের সমর্থকরা ঢাল, কাতরা, সড়কি, ভেলা, রামদা ও ইটপাটকেল সহকারে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এনায়েত হোসেন বলেন, বাড়ি ফেরার পথে ওয়াহিদুজ্জামানের সমর্থকরা আমার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। এসময় সংঘর্ষে আনিস, সাব্বির, শরিফুল ও রিপনসহ আমাদের ১০ জন আহত হন।
সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান মো: ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমার সমর্থক রাজিবসহ কয়েকজন লোক ইউসুফদিয়া বাজারে গেলে এনায়েত হোসেনের লোকজন তাদের উপর হামলা করে। এতে আমার ৭/৮ জন সমর্থক আহত হন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাবেক চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ও এনায়েত হোসেন উভয়েই ইতিপূর্বে বিএনপির সমর্থক ছিলেন। ২০১৪ সালে বিএনপির মনোনয়নে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। অপরদিকে, এনায়েত হোসেনও বর্তমানে ক্ষমতাসীন মহলের সমর্থক হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন।
সালথা থানার তদন্ত অফিসার সুব্রত গোলদার বলেন, এ সংঘর্ষে থানার এসআই মোস্তফাসহ পাঁচজন পুলিশ আহত হয়েছেন। এঘটনায় মো: ওয়াহিদুজ্জামান ও এনায়েত হোসেনসহ ৩০ জনের নামোল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন এসআই মোস্তফা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা