রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করলেন এসি রবিউলের মা
- মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা
- ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:১৮
রাজধানীর হোলে আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ হামলা মামলার রায়ে ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওই দিন উগ্রবাদীদের গুলিতে নিহত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) মোহাম্মদ রবিউল ইসলামের মা করিমন নেছা।
বুধবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর তৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটির জন্য সাড়ে তিন বছর অপেক্ষা করেছি। অভিযুক্তদের ফাঁসির রায় হওয়ায় আমি সন্তুষ্ট। দ্রুত এ রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রামের নিজ বাড়িতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরো বলেন, ‘আর যেন কোনো মা সন্তান না হারান, কোনো স্ত্রী যেন স্বামী আর সন্তান যেন বাবাকে না হারান। কেবল যার হারিয়েছে সেই এ ব্যথা বুঝতে পারে।’
এরআগে বুধবার দুপুর সোয়া ১২টায় রায় ঘোষণা করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। এছাড়া মামলার আরেক আসামি মিজানুর রহামান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর সড়কের পাশে অবস্থিত হলে আর্টিজান বেকারিতে উগ্রবাদীরা হামলা চালান। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হন। এরপর হলে আর্টিজান বেকারি থেকে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের লাশ উদ্ধার করে। হামলার ৩ দিন পর ৪ জুলাই রাতে গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। ওই সময় উগ্রবাদীদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন।
এসি মোহাম্মদ রবিউলের মা ও ছোট ভাই ছাড়াও স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে মেয়ে রাইনা বাবার মৃত্যুর এক মাস পর জন্মগ্রহণ করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা